সুজয়, চৈতালির উদ্যোগে ‘যুদ্ধজ্বরে রবীন্দ্রনাথ’
RBN Web Desk: গোটা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসে কোণঠাসা, ঠিক সেইসময় দাঁড়িয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আবহে দেশে ঘটে চলা মহামারী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন ও তাঁর ভাবনাকে কতটা প্রভাবিত করেছিল, সেই ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে এক নতুন আঙ্গিকে পরিবেশন করার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন বাচিকশিল্পী সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ও চৈতালি দাশগুপ্ত। ‘যুদ্ধজ্বরে রবীন্দ্রনাথ’ নামক এই ভিডিওতে থাকছে রবীন্দ্রনাথের রচনা, গান ও সমকালীন পরিস্থিতির উল্লেখ। ভাষ্যপাঠে থাকছেন সুজয়প্রসাদ ও চৈতালি।
কলেরা, প্লেগ ও টাইফয়েড একসময় ছিল বাংলার নিত্যসঙ্গী। ১৯১৪-১৯১৮, বস্তুত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আবহাওয়ায় যুদ্ধফেরত সৈন্যদের হাত ধরে ভারতবর্ষে এল ‘স্প্যানিশ ফ্লু’। সেই জ্বরের প্রকোপ পড়ল ঠাকুরবাড়িতেও। ভারত থেকে কীভাবে অন্যান্য দেশে কলেরা সংক্রমিত হল, তার সামগ্রিক চিত্র ধরা পড়েছিল রবীন্দ্রনাথের ‘ওলাউঠার বিস্তার’ প্রবন্ধে। ১৯১৮-১৯২০ সালের মধ্যে এই স্প্যানিশ ফ্লুতে গোটা ভারতবর্ষে মৃতের সংখ্যা আনুমানিক ১.২০ কোটি। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতি বিচলিত করেছিল রবীন্দ্রনাথকে।
আরও পড়ুন: যন্তর মন্তর কক্ষের নেপথ্যে
“বিষয় ভাবনাটা সুজয়ের,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন চৈতালি। “স্প্যানিশ ফ্লু নিয়ে আমি বিশেষ কিছু জানতাম না। সুজয়ই একদিন আমাকে বলল যে সেই সময় রবীন্দ্রনাথ কি করেছিলেন, সেটা একটু দেখতে। এরপর আমি যেখান থেকে যা তথ্য পাই সেসব সংগ্রহ করতে থাকি। প্রশান্তকুমার পাল ও প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, এই দুই রবীন্দ্র জীবনীকারের বিস্তারিত আলোচনায় তথ্য সংগ্রহ করতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। অদ্ভুত লাগে, দেশে প্লেগ, মহামারী, ওলাওঠা, কলেরা, বসন্ত এসব নিয়ে এত লেখা হয়েছে, অথচ এই ‘যুদ্ধজ্বর’ নিয়ে তেমন কিছুই বলা হয়নি।”
সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথ প্রায় ১৫টি গান রচনা করেন। তার মধ্যে তিনটি গান থাকছে ভিডিওতে। “তবে চিত্রনাট্য লেখা তো আর রচনা নয়, যা তথ্য পেয়েছিলাম তাই দিয়ে লিখতে বসে যেন নতুন করে রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কার করলাম,” বললেন চৈতালি।
ভিডিওটি সম্পাদনা করেছেন উত্তরণ দে, পরিচালনা রাজা দাশগুপ্তর। সৃজনে রয়েছেন বিদীপ্তা চক্রবর্তী ও সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।
আগামীকাল ইউটিউবে মুক্তি পেতে চলেছে ‘যুদ্ধজ্বরে রবীন্দ্রনাথ’।