পল্লবীর উদ্যোগে আবারও প্রবাসে বঙ্গ সংস্কৃতির উদযাপন
কলকাতা: অভিনেত্রী পল্লবী চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আবারও দুবাইতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘বঙ্গ প্রবাসী মিলাপ’। এই নিয়ে তৃতীয় বর্ষে পড়ল এই অনুষ্ঠানটি। প্রবাসে বসবাসকারী বাঙালিদের মধ্যে বঙ্গ সংস্কৃতি আরও বেশি করে ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ। প্রতি বছরের মতোই এবারও এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কলকাতার সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজের প্রাক্তনীদের একাংশ।
দু’দিন ব্যাপী ‘বঙ্গ প্রবাসী মিলাপ’ শুরু হবে ৬ ডিসেম্বর। প্রথম দিনে থাকছে চারটি বাংলা ছবির প্রদর্শন, যার মধ্যে রয়েছে সায়ন্তন ঘোষালের ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘গুমনামী’, অরিন্দম শীলের ‘মিতিন মাসি’ ও কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘মুখোমুখি’। ৭ ডিসেম্বর থাকছে সঙ্গীতানুষ্ঠান। কলকাতা থেকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, রূপম ইসলাম, নীল দত্ত ও অমিত দত্ত উপস্থিত থাকবেন এই সম্মেলনে।
আরও পড়ুন: পাকদণ্ডীর পথে পথে দেওরিয়াতাল
“শুধুমাত্র বাংলা ছবির প্রসার ঘটানোই ‘বঙ্গ প্রবাসী মিলাপ’-এর উদ্দেশ্য নয়,” গতকাল শহরে সাংবাদিকদের জানালেন পল্লবী। “ছবির পাশাপাশি বাংলা নাটক, গান, খাবার সবকিছুই প্রবাসী বাঙালিদের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছনোই আমাদের লক্ষ্য। আমিরশাহীর দর্শক-শ্রোতারা মুখিয়ে থাকেন এই অনুষ্ঠানের জন্য।”
২০১৮-তে বাংলা ছবির শতবর্ষ উপলক্ষে বড় আকারে ‘বঙ্গ প্রবাসী মিলাপ’-এর আয়োজন করা হয়। তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে সাতটি বাংলা ছবি দেখানো হয় সেবার। তবে প্রত্যেকবারই যে বড় আকারে এই অনুষ্ঠান করতে হবে, তেমনটা মনে করেন না সম্মেলনের অন্যতম কর্ণধার, জ়েভিয়ার্সের প্রাক্তনী কল্যান ভট্টাচার্য। “আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো এই অনুষ্ঠানটিকে প্রতি বছর চালিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বাংলা সংস্কৃতির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো। বাংলা ছবি এবং গান ছাড়াও আমরা প্রতি বছর চতুরঙ্গ নামের একটি থিয়েটার উৎসবেরও আয়োজন করি,” জানালেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফাগুন লেগেছে বনে বনে
অঞ্জন দত্তর মতে বাংলা ছবির বাজার বাড়াতে গেলে শুধুমাত্র প্রযোজনা সংস্থা বা ডিস্ট্রিবিউটরের দ্বারা তা সম্ভব নয়। “এর জন্য বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাঙালিদেরই এগিয়ে আসতে হবে,” বললেন অঞ্জন।
“গত তিন বছর ধরেই আমি ‘বঙ্গ প্রবাসী মিলাপ’-এর সঙ্গে যুক্ত,” জানালেন প্রসেনজিৎ। “বাংলার বাইরে বিভিন্ন দেশে একটু হলেও আমাদের ছবির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। আগামী পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে হয়তো নিয়মিত বাংলা ছবি দেখা যাবে সেখানে।”