অন্য মহালয়ার খোঁজে এনা, সনাতন রুদ্র পাল
RBN Web Desk: দুর্গাপূজার মূল বক্তব্য লুকিয়ে রয়েছে নারীশক্তির উদযাপনে। ব্রহ্মার বরে অপরাজেয় ছিল মহিষাসুর। অর্থাৎ কোনও পুরুষশক্তির দ্বারা সে পরাজিত বা নিহত হবে না। অসীম শক্তির অধিকারী মহিষাসুর সেই ক্ষমতাবলে ত্রিভুবনের অধিশ্বর হয়ে উঠতে চাইল। দেবতাদের সমূহ বিপদ উপলব্ধি করে সমস্ত দেবশক্তিকে এক আধারে আহরণ করে সৃষ্টি হলো এক দেবীমূর্তির। সেই দেবীই অসুরকে যুদ্ধে হারিয়ে হয়ে উঠলেন মহিষাসুরমর্দিনী।
আপামর বাঙালির দেবীপক্ষের প্রথমদিন, অর্থাৎ মহালয়ার সকাল শুরু হয় বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে চন্ডীপাঠ শুনে। তবে মৃন্ময়ী নারীমূর্তির সামনে করজোড়ে প্রার্থনা করলেও সমাজে রক্তমাংসের নারীর অবস্থান আজও খুব একটা উন্নত হয়নি। সাধারণ অবস্থায় নারীকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়া দূরে থাক, বরং তাকে পিষে ফেলতেই বেশি আগ্রহী হয় মানুষ।
আরও পড়ুন: যন্তর মন্তর কক্ষের নেপথ্যে
বাস্তবের এই অদ্ভুত বৈপরীত্যকে তুলে ধরবে পরিচালক অমিত বিটু দের মিউজ়িক্যাল ‘মহামায়া’। অভিনয়ে থাকছেন এনা সাহা, গৌরব, দীপায়ন ঘোষ ও বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী সনাতন রুদ্র পাল।
অন্য আঙ্গিকে দেবীপক্ষের সূচনা নিয়ে পরিচালক জানালেন, “গত দু’বছর ধরে এই বিপরীতধর্মী মহালয়া নিয়ে আমি কাজ করতে চাইছিলাম। এতদিন বাদে যে কাজটা করতে পারলাম তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব এনা, সনাতন রুদ্র পাল, রজ্জামুল হক ও সৌরভ সিংহ রায়ের প্রাপ্য। আশা করি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তৈরি ‘মহামায়া’ দর্শকদের ভালো লাগবে।”
সমগ্র অনুষ্ঠানের চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন সুরজ দাস, সম্পাদনায় প্রণয় দাশগুপ্ত। চিত্রনাট্য রাহুল রায়ের, সঙ্গীতের দায়িত্বে রয়েছে ডিজে আলভী। গানগুলি গেয়েছেন রাত্রিশ সাহা ও জয়দীপ সিনহা।
আগামীকাল ইউটিউবে মুক্তি পেতে চলেছে ‘মহামায়া’।