শিকড়ের সন্ধানে অনিন্দ্যর ‘লা পাত্রি’
RBN Web Desk: আর্মেনিয়া থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে শিকড়ের সন্ধানে ফ্রান্সে এসে পৌঁছোয় অ্যানি। কর্মসূত্রে বহুবছর আর্মেনিয়াতে থাকলেও অ্যানির বাবা-মা ছিলেন ফ্রান্সের বাসিন্দা। অ্যানির এই সন্ধান-সফর চলাকালীন গঙ্গার সঙ্গে আলাপ হয় তার। গঙ্গা ভারতীয়। দেশ-বিদেশের কাঁটাতার, নিয়ম-নীতি সে বোঝে না। নদীর মতোই তার বিস্তার। মানচিত্রে আঁকা নির্দিষ্ট কোনও দেশ নয়, বরং গোটা পৃথিবীটাই গঙ্গার কাছে ‘লা পাত্রি’, ফরাসি অভিধানে যার অর্থ হোমল্যান্ড।
জন্মভূমি? মাতৃভূমি? পিতৃভূমি? না, বাসভূমি? হোমল্যান্ড আসলে কী? উত্তর জানা নেই। একজন মানুষের বহমান জীবনবৃত্তে হোমল্যান্ড কথার অর্থ খুঁজতেই পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় তৈরি করেছেন ৭২ মিনিটের এই ছবি।
ভারত-ফ্রান্স যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ‘লা পাত্রি’র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং অ্যানি হভ্যনিসিয়া। “একজন সফল অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি পরমব্রত নিজে একজন পরিচালক। তাই ওঁর সঙ্গে কাজ করে ভীষণ ভালো লেগেছে। গোটা ছবিটাই প্যারিসে শুট করা। আমাদের হাতে মাত্র সাতদিন সময় ছিল। এত কম সময়ের মধ্যে, সীমিত লোকবল নিয়ে কাজ করা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। পরমের মত অভিজ্ঞ মানুষ ছাড়া এটা সম্ভব হতো না,” জানালেন অনিন্দ্য।
আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ
ছবির অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জনাথন দুমন্তিয়্যর, সিলভি দ্য নেফ, প্রকাশচন্দ্র রায় ও আরও অনেকে। অনিন্দ্য ছাড়াও ‘লা পাত্রি’র চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছেন সোমঋতা ভট্টাচার্য। চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন আইজ়্যাক টুলিদু পাওলো, নিকোলাস ভার্ট এবং আলম খান। ছবিটি সম্পাদনা করেছেন অমিতাভ দাশগুপ্ত, আবহ সঙ্গীত অলকানন্দা দাশগুপ্তের।
২০১৮ সালের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আন্তর্জাতিক বিভাগে দেখানো হয় এই ছবি। এছাড়া ২০১৯-এর দাদাসাহেব ফালকে চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয় ‘লা পাত্রি’। এই বছর হায়দরাবাদ ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও সম্মানিত হয় ছবিটি।
বর্তমানে নেটফ্লিক্সে দেখা যাচ্ছে ‘লা পাত্রি’