এ সপ্তাহের গল্প: অপূর্বর যৌথ পরিবার কি মেনে নেবে?

RBN Web Desk: জীবনের থেকে বড় খেলাঘর বোধহয় পৃথিবীতে আর নেই। সুখ, দুঃখ, হাসিকান্না মিলিয়ে একটা মানুষ তার প্রিয়জনের হাত ধরে দিব্যি কাটিয়ে দিতে পারে সারাজীবন। কিন্তু হঠাৎ যদি কারোর কাছের মানুষটি হারিয়ে যায়? জীবন কি তাহলে থেমে যাবে? নারী তো দশভূজা। একা হাতে বিশ্ব সংসার চালাতে নারী তুলনাহীনা। তাই আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এক একা নারীর জীবনযুদ্ধের গল্প নিয়ে শুরু হচ্ছে ধারাবাহিক ‘কড়ি খেলা’।

স্বামীর মৃত্যুর পর একাই ছেলেকে মানুষ করছে পারমিতা ওরফে পরী। পাশাপাশি রয়েছে তার নিজস্ব বেকারির ব্যবসা। ছেলে কুট্টুস এবং মাকে নিয়ে পরীর ছোট্ট সংসার চলছে তাল মেলানো ছন্দেই। কিন্তু এই ছন্দই মাঝরাস্তায় খেই হারালে, হঠাৎ নতুন সুরের হাওয়া নিয়ে হাজির হয় অপূর্ব। কড়ির হাত ধরে থাকা কুট্টুসের অপর হাতটি ধরে নেয় সে।

আরও পড়ুন: শেষ যাত্রায় ব্রাত্য, পথ হেঁটেছিলেন মাত্র কয়েকজন

স্ত্রীর মৃত্যুর পর দুই মেয়েকে নিয়ে এক যৌথ পরিবারে বাস করে অপূর্ব। নিজের সমস্ত ভালোবাসা উজাড় করে সন্তানদের মায়ের স্নেহের অপূর্ণতাকে সে পূরণ করে। স্ত্রীকে ভুলে তার পরিবর্তে অন্য কারোর কথা ভাবতে পারেনি অপূর্ব। এদিকে মায়ের অনেকবার নতুনভাবে জীবন শুরু করার উপদেশ পরী ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর রাহুলের মতো বলে ওঠে, ‘আমরা একবার বাঁচি, একবার মরি, বিয়ে একবারই হয়। আর প্রেমও হয় একবারই।’

কিন্তু পরী ভুলে যাচ্ছে রাহুলও শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিল। তাহলে কি পরীর জীবনে অপূর্বর প্রবেশের মাধ্যমে নতুন এক যাত্রাপথের সূচনা হতে চলেছে? এ ক্ষেত্রে অপূর্বর যৌথ পরিবার কী ভূমিকা নেবে?




‘কড়ি খেলা’য় পরীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন শ্রীপর্ণা রায়। অপূর্বর চরিত্রে রয়েছেন আনন্দ ঘোষ। কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ধারাবাহিকের প্রোমোর দ্বিতীয় ভাগে দেখা গেছে অপূর্বকে। রাস্তার গাড়ি থামিয়ে সে সাহায্য করছে কুট্টুস ও তার মাকে। পিছনে গুনুগুনিয়ে বেজে উঠেছে, ‘দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোনা’।

আজ রাত ৯.৩০টা থেকে জ়ি বাংলার শুরু হচ্ছে ‘কড়ি খেলা’। 

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *