বিশ্বভারতীর উদ্যোগে নজরুল ইসলাম স্মরণ
শান্তিনিকেতন: সম্প্রতি শহরের লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ ভবনের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হল কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণ অনুষ্ঠান। দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানের প্রথমটিতে ছিল নজরুল বিষয়ক আলোচনা এবং দ্বিতীয়ার্ধে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান। অনুষ্ঠানে মূল বক্তা ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক সুমিতা চক্রবর্তী, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও বাংলাদেশ ভবনের মুখ্য সমন্বয়ক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে ঋগ্বেদীয় স্তোত্রগীতি পরিবেশন করেন সঙ্গীত ভবনের অধ্যাপক প্রশান্ত ঘোষ ও তাঁর ছাত্রীবৃন্দ।
মানবেন্দ্রবাবু তাঁর স্বাগত ভাষণে বলেন যে খুব সম্ভবত এই প্রথম বিশ্বভারতীতে নজরুলকে নিয়ে সরকারীভাবে এই ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । আগামীদিনে বাংলাদেশ ভবন যাতে একটি বিদ্যায়তনিক কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে সে বিষয়ে তাঁরা সদা সচেষ্ট রয়েছেন।
তৌফিক বলেন যে অতীতের অনগ্রসর মুসলমান সমাজ নজরুলের লেখনীতে উজ্জীবিত হয়েছিল, শুরু হয়েছিল নবজাগরণ।
শব্দ যখন ছবি আঁকে
বিদ্যুৎবাবু তাঁর ভাষণে বলেন, নজরুল মানবতাদের প্রথম বাণী—‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’—শুনেছিলেন কবি জয়দেবের কাছে থেকে। সুমিতাদেবীর আলোচ্য বিষয় ছিল ‘নজরুল ইসলাম: আন্তর্জাতিক’। তিনি নজরুলের আন্তর্জাতিক চেতনার উল্লেখ ব্যাখ্যা করেন।
দ্বিতীয় পর্বে নজরুলের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে গাঁথা কথায়-কবিতায়-গানে ‘আমারে দেব না ভুলিতে’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে কলকাতার ‘ছায়ানট’। নজরুলগীতি পরিবেশন করেন সংস্থার কর্ণধার সোমঋতা মল্লিক ও আবৃত্তিতে ছিলেন বাচিকশিল্পী স্বর্ণাভ রায়।
সভা শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কেশব চন্দ্র সিনহা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সৌমিত্র কুমার চক্রবর্তী।
ছবি: সৌমিত্র কুমার চক্রবর্তী