নায়িকাদের জন্য ধূসর চরিত্র লেখাই হয় না: ইশা
নায়িকা মানেই তাঁকে খুব পজ়িটিভ চরিত্র হতে হবে, এমনটা মনে করেন না অভিনেত্রী ইশা সাহা। সম্প্রতি পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘একটু সরে বসুন’ ছবির ট্রেলার মুক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এই ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম পিউ, মফঃস্বলের এক অতি সাধারণ মেয়ে সে। ইশার সঙ্গে পিউয়ের মিল কোথায়?
“সারল্যে,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন ইশা। “এটা কমলদা বলেছেন। পিউয়ের বয়স আমার তুলনায় অনেকটাই কম। গুড্ডু অর্থাৎ ঋত্বিকের চরিত্রের চেয়ে সে বেশ কিছুটা ছোট। কিন্তু পিউ যেমন সরল তেমনই স্পষ্টবক্তা এবং একটু মুখরাও। ছবিটা কমেডি হলেও চরিত্রে কিন্তু কোনও কমেডি নেই। এটা শুরুতেই বলে দেওয়া হয়েছিল। সেভাবে দেখলে এই ছবিতে কোনও চরিত্রই শুধু কমেডির জন্য কমেডি করে না। পুরো ছবিটাই পরিস্থিতির ভিত্তিতে মজাদার হয়ে দাঁড়ায়।”
কমবেশি সব ছবিতেই তাঁকে এরকম ভালো মেয়ের চরিত্রেই দেখা যায়। এর বাইরে অন্য ধরনের চরিত্র নিয়ে ইশা কি ভেবেছেন কখনও?
“চাইলেই অন্যরকম চরিত্র দেবে কে? আমাদের জন্য ধূসর চরিত্র লেখাই হয় না। বাংলা ছবিতে নায়িকা মানেই তো সে সাধাসিধে পাশের বাড়ির মেয়ে। এর বাইরে যদি বা একটু আলাদা চরিত্র হয়, তখন এটাও দেখানো হয় কেন সে এমন হলো। একটা নেগেটিভ শেডের চরিত্র কেন শুধুই নেগেটিভ হতে পারে না? কেন তার নেগেটিভ হবার কৈফিয়ত ছবিতে দেয়া হবে?” প্রশ্ন ইশার।
আও পড়ুন: ‘সেনা উর্দি পরতে পারাই সবথেকে বড় পুরস্কার’
তাঁর মতে, বর্তমানে প্রায় সকলে এতটাই খোলামেলা চিন্তাধারায় অভ্যস্ত যে এটা ধরেই নেওয়া যায় সবাই একইরকম ভালো বা নীতিবোধ সম্পন্ন হবেন না। তাহলে ছবিতে মূল চরিত্রের ক্ষেত্রে কেন একজন নায়িকাকে শুধু ভালো হয়েই থাকতে হবে? “একজন মানুষের সব ভালো এমন তো হয় না। কেউ-কেউ অকারণেই হিংসে করে বা লোভী হয়। এতে তো দোষের কিছু নেই। এটা মানবচরিত্রের একটা স্বাভাবিক দিক। কিন্তু বাংলা ছবিতে নায়িকা মানেই তার সব ভালো হতে হবে। যদি সে খারাপও হয় তবে দেখাতে হবে কেন সে এমন হলো। এই ব্যাপারটা আমার অদ্ভুত লাগে। আমি নিজে ভালো, খারাপ, সবরকম চরিত্রেই কাজ করতে চাই। এই ছবিতে যেমন কমেডি তেমন অন্য কোথাও একটু অন্য ধরনের চরিত্র পেলে ভালো লাগবে। একটানা ভালো মেয়ের চরিত্র করতে-করতে একটু তো একঘেয়েমি আসেই,” বললেন ইশা।
ছবি: প্রতিবেদক