বহু ঐতিহাসিক চরিত্র রয়েছে এই ছবিতে: শাশ্বত
RBN Web Desk: ভারতীয় সিনেমার জগতে প্রথম প্রযোজকদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। নির্বাক যুগের ছবি প্রযোজনা দিয়ে শুরু করে একসময় সারা ভারতে ১২৭টি সিনেমাহলের মালিক ছিলেন জামশেদজি ফ্র্যামজি ম্যাডান। কলকাতার ম্যাডান স্ট্রিটের নামকরণ তাঁরই স্মরণে। তৎকালীন বোম্বেতে দুটি থিয়েটারের মালিক ম্যাডান ১৯০২ সালে কলকাতায় পৌঁছন। এরপর তাঁর প্রযোজনায় তৈরি হয় ‘সত্যবাদী রাজা হরিশচন্দ্র’ ও ‘বিল্বমঙ্গল’-এর মতো কিংবদন্তি নির্বাক ছবি।
তবে তারও আগে ম্যাডানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল বাঙালি পরিচালক হীরালাল সেনের, যিনি এ দেশে প্রথম সিনেমা তৈরি করেন। সেই হীরালালকে নিয়ে তৈরি বায়োপিকে ম্যাডানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। পরিচালক অরুণ রায়ের ছবি ‘হীরালাল’-এর অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিঞ্জল নন্দ, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অনুষ্কা চক্রবর্তী, অর্ণ মুখোপাধ্যায় ও তন্নিষ্ঠা বিশ্বাস।
ম্যাডানের মতো ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয় করে উচ্ছ্বসিত শাশ্বত জানালেন, “যাঁরা বাংলা ছবির ইতিহাস জানেন, তাঁরা ম্যাডান সাহেবের নামও জানবেন। ম্যাডান ছিলেন একজন ব্যবসাদার, যিনি সিনেমাটাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন। খুব ইন্টারেস্টিং একটা চরিত্র। হীরালালের সঙ্গে ম্যাডানের কিছু দৃশ্য আছে। তাদের দুজনের মধ্যে কী হয়েছিল সেটা ছবিটা দেখলে বোঝা যাবে।”
আরও পড়ুন: ম্যাজিক দেখাবে ছোট্ট কাদম্বিনী
ছবিতে হীরালালের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিঞ্জল। পেশায় ডাক্তার হলেও, অভিনয়টা কিঞ্জলের পছন্দের জায়গা। “এমনই একজন মানুষ ছিলেন আমার বাবা (শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়), যিনি ডাক্তার হয়েও অভিনয়ে চলে আসেন,” বললেন শাস্বত। “এই ব্যাপারটার জন্যই হয়ত কিঞ্জলের সঙ্গে কাজ করতে আমার খুব ভালো লেগেছে। আর অরুণ ছবির প্রতিটা ছোট ডিটেলসের ওপর খুব নজর দেয়। ছোট চরিত্রগুলোও ও খুব নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে। বহু ঐতিহাসিক চরিত্র রয়েছে এই ছবিতে। সব মিলিয়ে কাজটা সত্যিই ভালো হয়েছে। এই ছবি অবশ্যই প্রেক্ষাগৃহে এসে দেখতে হবে,” বললেন শাশ্বত।
‘হীরালাল’ পিরিয়ড ছবি হওয়ার কারণে পুরোনো কলকাতার দৃশ্য নির্মাণে বহু জায়গায় গ্রীন স্ক্রিনের মাধ্যমে শুট করা হয়েছে বলে জানালেন শাশ্বত। সেক্ষেত্রে অভিনয়ের ওপর কোনও প্রভাব পড়ে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন, “অবশ্যই সম্পূর্ণ ব্যাপারটা স্বাভাবিক শুটিংয়ের থেকে অনেকটাই আলাদা। অভিনয় করার সময় কোনও প্রেক্ষাপট থাকে না। সবটাই ভেবে নিতে হয়। কোনও সেটে বা লোকেশনে দাঁড়িয়ে সংলাপ বলা অনেক সহজ, কারণ সেখানে আমি দৃশ্যটা বুঝতে পারছি। এ ক্ষেত্রে সেটা আমাকে ধরে নিতে হচ্ছে। তাই কাজটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।”
আগামীকাল মুক্তি পেতে চলেছে ‘হীরালাল’।