সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের কথা নিয়ে ছবি

RBN Web Desk: বর্তমান সমাজে নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা বিধানের চেষ্টা করা হলেও বহু স্তরেই এখনও পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থাই রয়ে গিয়েছে। নারীবাদও মানুষের মননে ছড়াচ্ছে। ফলস্বরূপ, নারীরা এখন স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে। তবে সবসময় কি সেই স্বাধীনতা পাওয়া যায়? বিশেষ করে প্রান্তিক সমাজের নারীরা বহু দুর্ভোগের মুখোমুখি হন। সেই নিয়েই সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘দোআঁশ’।

পঞ্চাশোর্ধ সারথী সর্দারের বাস সুন্দরবনে। স্বামী-সন্তানহারা সারথী সুন্দরবনের খাঁড়িতে ডিঙি ভাসিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। একইসঙ্গে তার নাতনি ঝুমরিকে সমাজের কুনজর থেকে আড়ালে রাখতে চায়। ঝুমরি দিবাকরকে ভালোবাসে। দিবাকরের বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল ধরতে সে বাবার বন্ধুর হয়ে মধু সংগ্রহের কাজ নেয়। প্রথমদিন মধু নিয়ে ফিরে এলেও পরের দিন সে ফেরে না। সর্দার জানায়, দিবাকরকে বাঘে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ঝুমরি তা মানতে রাজি নয়। সে বারবার বনের ঠিকাদারের কাছে দিবাকরকে সন্ধান করার অনুরোধ করলে সে লোকটি তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। প্রথমে সে প্রস্তাবে রাজি না হলেও পরে ভালোবাসার মানুষটির কী হলো তা জানার জন্য ঝুমরি রাজি হয়। এরপর সন্ধান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় দিবাকরকে। সে সব বৃত্তান্ত শুনে আরও আঁকড়ে ধরে ঝুমরিকে। তবু কি নারীস্বাধীনতা খর্বকারীদের কোনও শাস্তি হবে না? সে উত্তর দর্শক পাবেন বড়পর্দায়।

আরও পড়ুন: থতমত এই শহরে রডোডেনড্রন

সায়ন জানালেন, সুন্দরবনের প্রান্তিক সমাজের দুই প্রজন্মের নারীর জীবনযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করবেন দর্শক।

এই ছবিতে দিবাকরের ভূমিকায় অভিনয় করছেন অনুভব কাঞ্জিলাল ও ঝুমরির চরিত্রে থাকছেন শ্রীতমা দে। এছাড়া কিংশুক গঙ্গোপাধ্যায়, সঞ্জিতা মুখোপাধ্যায় ও আরও অনেকে থাকছেন ছবিতে।

ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন সুমিত দে, চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন সুমিত রায়। ছবিটি সম্পাদনা করবেন অনির্বাণ মাইতি।

এই বছরেই মুক্তি পাবে ‘দোআঁশ’।




Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *