গ্রামবাংলার মাটির গানকে চেনাতে ‘আবার আসিব ফিরে’
RBN Web Desk: ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া…’, বস্তুত অনেকেই নিজের ঘর নিজের দেশকে যতটা না ভালোবাসে যতটা না চেনে তার চেয়ে অনেক বেশি চেনে জানে ভালোবাসে বিদেশকে। অথচ নিজের দেশে, এই বাংলায় এত সৌন্দর্য, এত ঐতিহ্য লুকিয়ে আছে যা সব অর্থেই সোনার খনির সঙ্গে তুলনীয়। এমনই এক কাহিনি নিয়ে আসছে পরিচালক দেবপ্রতিম দাশগুপ্তের ছবি ‘আবার আসিব ফিরে’। অভিনয়ে আছেন ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় (Rwitobroto Mukherjee), ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়, মীর আফসার আলি, রিয়াঙ্কা রায়, শঙ্কর দেবনাথ, তুলিকা বসু, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, পার্থসারথি চক্রবর্তী, সুপ্রতিম রায় ও পিয়া দেবনাথ। অতিথি শিল্পী হিসেবে থাকছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly)।
ছবির গল্প ধাত্রীপুর গ্রামের প্রাণেশ সরকারকে ঘিরে। গ্রামের বিত্তশালী মানুষটি হঠাৎই একদিন বিদেশে থাকা তাঁর নাতিকে ডেকে পাঠান। বহুদিন পর মা হারা নাতি প্রদ্যুৎকে কাছে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান তিনি। প্রদ্যুতের স্বপ্ন সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ানো, বিশ্বকে নিজের চোখে চেনা জানা। কিন্তু তার জন্য যা খরচ সে তো প্রদ্যুতের সামর্থ্যের বাইরে। প্রাণেশবাবুর অনেক সম্পত্তি। তিনি নাতিকে তার স্বপ্নপূরণের আশ্বাস দেন। তবে বিনিময়ে তার কিছু কাজ নাতিকে করে দিতে হবে। কাজগুলো করে দিতে পারলে শুধু বিদেশ ভ্রমণ নয় দাদুর সম্পত্তিও পাবে প্রদ্যুৎ। কী সেই কাজ? সেই কাজের জন্য প্রদ্যুৎকে যেতে হয় বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও পুরুলিয়ার বিভিন্ন জায়গায়। পরিচিত হতে হয় সেই সব জায়গার প্রাচীন ঐতিহ্য তথা লোকসঙ্গীতের সঙ্গে। বাউল কীর্তন, বনবিবির আখ্যান, টুসু ভাদুর গান, আলকাপ, রায়বেশে এমন নানান গানের ধারার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় প্রদ্যুতের। তারপর? দাদু কি পূরণ করেন নাতির স্বপ্ন?
আরও পড়ুন: খলচরিত্রে রণবীর, ঘোষণা জন্মদিনে
ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন দেবপ্রতিম। চিত্রগ্রহণে রয়েছেন পরমেশ্বর হালদার। সঙ্গীত সংযোজন করেছেন রাতুল শংকর। সম্পাদনায় আছেন পার্থিব জোয়ারদার। সঙ্গীতকেন্দ্রিক এই ছবির গানগুলি গেয়েছেন রূপম ইসলাম (Rupam Islam), ইন্দ্রনীল সেন, জোজো, দুর্নিবার সাহা, দেব চৌধুরী, অমৃতা দত্ত, সৌমী ও দীপান্বিতা আচার্য।
২৫ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে ‘আবার আসিব ফিরে’।