ম্যাগির সঙ্গে টকদই, স্মৃতিচারণে ‘রাসমণি’ দিতিপ্রিয়া
RBN Web Desk: দীর্ঘ চারবছর পর টেলিভিশনের পর্দায় শেষ হতে চলেছে রাণী রাসমণির জীবনকাল। ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকের নামভূমিকায় এতদিন ধরে অভিনয় করার পর অবশেষে আজ শেষ হচ্ছে রাসমণির ভূমিকায় অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়ের যাত্রাপথ।
এই ধারাবাহিকে তিনি যখন রাসমণির ভূমিকায় নির্বাচিত হন, তখন দিতিপ্রিয়ার বয়স ছিল ১৫। স্কুলে পড়াকালীন রাসমণির অল্পবয়সের চরিত্রের জন্য তাঁকে নিবার্চন করা হয়েছিল। কিন্তু ধীরে- ধীরে তিনি এমনভাবে চরিত্রটির সঙ্গে মিশে যান যে যখনই পরিণত বয়সের রাসমণির চরিত্রে অন্য কোনও অভিনেত্রীকে নেওয়ার কথা উঠেছে, তখনই দর্শকদের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে। কিশোরী রাসমণি থেকে নিয়ে তরুণী ও পরে প্রৌঢ়া রাণীর ভূমিকাতেও প্রায় সব দর্শক দিতিপ্রিয়াকেই দেখতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেহিসেবী জীবনযাপন, আজ স্মৃতির অতলে সৌমিত্র
‘করুণাময়ী’কে জড়িয়ে গত চার বছরের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন দিতিপ্রিয়া। “এই চার বছরে এখান থেকে প্রচুর কাজ শিখেছি। এই চরিত্রের জন্য দর্শকদের থেকে এত ভালোবাসা পেয়ে আমি ধন্য। এই সবকিছু আমার সঙ্গে চিরকাল থেকে যাবে। দর্শকদের ভালোবাসা ছাড়া এতদিন ধরে এই চরিত্রে আমি থেকে যেতে পারতাম না। এতদিন সন্ধ্যাবেলা বাড়ি থাকলে টিভির সামনে বসে পড়তাম ‘রাসমণি’ দেখতে। এখন অবশ্যই দেখব, কারণ ধারাবাহিকটি এখানেই শেষ হচ্ছে না,” সংবাদমাধ্যমকে জানালেন দিতিপ্রিয়া।
এই সূত্রে শুটিং সংক্রান্ত অনেক স্মৃতিও উঠে এল তাঁর কথায়। কখনও দুষ্টুমি করে তিনি মথুর চরিত্রের অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের ফোনের ব্যাককভারে সূর্য এঁকে দিয়েছেন, তো কখনও গাজ়ী আবদুন নূরকে (রাজচন্দ্র) ম্যাগির সঙ্গে টকদই মেখে খাইয়েছেন। আবার কখনও হয়তো সাবেকি বাংলা ভাষায় শট দিতে গিয়ে কেউ ভুল করে ইংরেজি বলে ফেলায় সেই নিয়ে হেসে সকলে গড়াগড়ি খেয়েছেন। শেষ দিন পর্যন্ত শটের বাইরেও তাঁকে মা কিংবা রাণীমা বলে ডেকে মজা করেছেন তাঁর সহঅভিনেতারা।
আজ জ়ি বাংলায় সন্ধ্যা ৬.৩০টায় একঘন্টাব্যাপী মহাপর্বে দেখা যাবে রাসমণির মহাপ্রয়াণ।