সহজ-সরল সময়ের উপরেই ভরসা রাখছে সুহোত্র, দিতিপ্রিয়া
RBN Web Desk: যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে চিঠির ভূমিকা আজ আর তেমন নেই বললেই চলে। তবে একটা সময় ছিল যখন সত্যিই দূরের মানুষের সঙ্গে ভাব বিনিময়ের একমাত্র উপায় হিসেবে এর বিকল্প পথ আর বিশেষ ছিল না। হয়তো আজও এমন কোনও গ্রাম রয়েছে যেখানে মানুষ একটা চিঠির আশায় হা-পিত্যেশ করে বসে থাকে। তেমনই এক সহজ-সরল গ্রামের নাম হাগদা। সেই গ্রামের গল্প নিয়েই পরিচালক অভ্রজিৎ সেন তৈরি করেছেন তাঁর প্রথম ওয়েব সিরিজ় ‘ডাকঘর’।
ট্রেলার দেখে মনে হতে পারে গ্রামের প্রেক্ষাপটে কোনও এক ভালোবাসার গল্প বলতে চলেছে ‘ডাকঘর’। সিরিজ়ের মূল চরিত্র দামোদরের ভূমিকায় থাকা সুহোত্র জানালেন, “প্রেমের মানে সকলের কাছে সমান নয়। কারও কাছে প্রেম খুব নিজস্ব একটা ব্যাপার, কারও কাছে হয়তো সেলিব্রেশন। ‘ডাকঘর’ ঠিক কীরকম ভালোবাসার কথা বলবে সেটা সিরিজ়টা দেখলে বোঝা যাবে। পদ্মদা (পদ্মনাভ দাশগুপ্ত) যেভাবে গল্পটা লিখেছেন তাতে কিন্তু দর্শক চরিত্রগুলোর প্রেমে পড়ে যাবে। চিঠি দিতে গিয়ে দামোদর যেভাবে গ্রামের মানুষের মুখোমুখি হবে সেগুলো নিয়েই গড়ে উঠবে এক একটা গল্প।”
আরও পড়ুন: নিখোঁজ ব্লগার, আসছে রিঙ্গোর ‘বারাণসী জাংশন’
এর আগে অভ্রজিতের পরিচালনায় নাটকে কাজ করেছেন সুহোত্র। প্রথমবার তাঁর নির্দেশে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কাজ করলেন তিনি। কেমন অভিজ্ঞতা ছিল?
“এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা অভিজ্ঞতা, কারণ দুটো মাধ্যম আলাদা। নাটকের ক্ষেত্রে অভ্রর ভূমিকা রিহার্সল অবধি। মঞ্চে ওর কিছু করার থাকে না। সেটা তখন অভিনেতাদের হাতে। কিন্তু সিরিজ়ের ক্ষেত্রে দৃশ্যটা ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তবে এতদিন ধরে একে অপরকে নানা কাজের মাধ্যমে চেনার ফলে ও জানে আমার কোথায় অসুবিধা হতে পারে। আবার আমি জানি ও এই দৃশ্যে ঠিক কীরকম এক্সপ্রেশন চাইছে। দিতিপ্রিয়ার সঙ্গেও এটা আমার প্রথম কাজ। লুক টেস্টের দিন ওকে আমি প্রথম দেখি। দিতিপ্রিয়া এত ভালো একটা মানুষ যে ওর সঙ্গে কাজ করা এমনিই খুব সহজ হয়ে যায়,” বললেন সুহোত্র।
সিরিজ়ের কাহিনীর সময়কাল সম্পর্কে দিতিপ্রিয়া জানালেন, “চিঠি জিনিসটা আমার খুব পছন্দের। আমি এখনও আমার খুব প্রিয় মানুষদের চিঠি লিখি বা তাদের থেকে চিঠি পেতে ভালোবাসি। এই সিরিজ়টা চিঠি নিয়ে হলেও এটা কিন্তু বর্তমান সময়ের গল্প। শুধু চিঠি নয়, মানি অর্ডার বা এরকম কিছু ব্যাপারে ডাকঘর খুব জরুরি একটা জায়গা। বিশেষ করে ওরকম একটা গ্রামে যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে কিছুই নেই।”
আরও পড়ুন: আজকাল তাড়াহুড়ো করে ছবি তৈরি হচ্ছে, মনে করেন ঋত্বিক
মঞ্জরীর চরিত্রটা দিতিপ্রিয়ার থেকে কতটা আলাদা বা কতটা মিল রয়েছে দুজনের মধ্যে?
“মঞ্জরী আমার থেকে খুব আলাদা একটা চরিত্র,” বললেন দিতিপ্রিয়া। “মঞ্জরী খুব ছটফটে, মুখে যা আসে বলে দেয়। কিছু ভেবে কথা বলে না এতটাই সরল। আবার খুব সাহসীও বলা যায় ওকে। মঞ্জরীর মতো অন্য চরিত্রগুলোরও নানা বৈশিষ্ট্য আছে। এই সিরিজ়ে আসলে গল্পটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ সেটাই ওই গ্রামের মানুষগুলোর জীবনকে তুলে ধরবে।”
গতকাল হইচই ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ‘ডাকঘর’।