সকলেই তো মানুষ, বললেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী

RBN Web Desk: বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick) ও শ্রীময়ী চট্টরাজের (Sreemoyee Chattoraj)। নানা কারণে বিতর্কিত বিয়ের পর এবার নৈশভোজের পার্টির বাইরে লেখা বিশেষ বার্তা নিয়ে সরব হয়েছে সমাজমাধ্যম। অবশেষে সেই বিষয়ে সাফাই দিতে মুখ খুলেছেন শ্রীময়ী।

২ মার্চ বিয়ের পর গতকাল ছিল উত্তরপাড়ার বিধায়ক ও অভিনেতা কাঞ্চন ও অভিনেত্রী শ্রীময়ীর রিসেপশন পার্টি (Kanchan-Sreemoyee marriage reception)। নিমন্ত্রিত ছিলেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং রাজনীতি জগতের অনেকেই। কিন্তু পার্ক স্ট্রিটের সেই সাততারা ব্যাঙ্কোয়েটের বাইরে পরিষ্কার ভাষায় লেখা ছিল সংবাদমাধ্যম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়িচালকদের প্রবেশ নিষেধ। এই নিয়েই আজ সকাল থেকে তোলপাড় হয় সমাজমাধ্যম। বাংলার বহু সাংবাদিক সরাসরি প্রশ্ন তোলেন যে এভাবে নবদম্পতি সমাজের বিশেষ কয়েকটি শ্রেণীকে অপমান করেন কীভাবে? বিশেষ করে নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়িচালকদের প্রবেশ নিষেধ বলে এইসব পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষকে পরোক্ষে অপমান করেছেন নবদম্পতি, এমনটাই মনে করেন তারা।

আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজ়ে রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ড, কেন্দ্রীয় চরিত্রে লোকনাথ

অবশেষে এর উত্তরে মুখ খুলেছেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী। অভিযোগের উত্তরে কাঞ্চন আগেই বলেছিলেন, এই ব্যাপারটা তাঁদের হাতে ছিল না। হোটেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কী লেখা হবে। এবারে শ্রীময়ীও গোটা ঘটনার দায় হোটেল কর্তৃপক্ষের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তাঁরা এটা একেবারেই করেননি। তাঁদের কাছে সাংবাদিক, গাড়ির চালক, এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী, সকলেই মানুষ। তাঁরা কাউকেই ছোট করতে চাননি। তাঁরা চেয়েছিলেন অনুষ্ঠানের গোপনীয়তা বজায় রাখতে। ভুয়ো পরিচয়ে যাতে কেউ ঢুকে না পড়ে সেইজন্যেই কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শ্রীময়ী।



অভিনেত্রীর দাবি, একেই সমাজমাধ্যমে তাঁদের বিয়ে নিয়ে প্রচুর কুরুচিকর মন্তব্য করা হচ্ছে। তাই তাঁরা চাননি যে বিশেষ কিছু পেশার লোকজন অনুষ্ঠানে আসুন। এ কথা তাঁরা হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ কীভাবে ব্যাপারটা পরিচালনা করবেন সেটা কাঞ্চন-শ্রীময়ীর হাতে ছিল না। তাঁদের বিয়ের কার্ডেও এমন কোনও উল্লেখ ছিল না বলে দাবি করেছেন শ্রীময়ী। 

তবে শ্রীময়ীর এই সাফাই বাংলা সংবাদমাধ্যম আদৌ বিশ্বাস করবে কিনা সেটাই দেখার। অনেকেই বলছেন, এরপর যদি কোনওদিন ব্যক্তিগত কারণে সংবাদমাধ্যমকে প্রয়োজন হয়, তখন তাদের পাশে পাবেন তো কাঞ্চন-শ্রীময়ী?

ছবি: ফেসবুক




Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *