বাংলায় ভয় পাওয়ার মত ভূতের ছবি হয়ই না, দাবী মৈনাকের
কলকাতা: ‘জিঘাংসা’, ‘হানাবাড়ি’, ‘কুহেলী’র পর বাঙালি দর্শক আর সেভাবে ভালো ভূতের ছবি পায়নি। সেই অভাবকেই পূরণ করতে আসছে শাব্বির মালিকের প্রথম ছবি ‘ভূত চতুর্দশী’, আর এই ছবির জন্য গা ছমছমে ভূতের গল্প লিখেছেন পরিচালক মৈনাক ভৌমিক।
ছবির কাহিনী প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রেডিওবাংলানেট–কে মৈনাক জানালেন, “ভৌতিক ছবি দেখতে আমি বরাবরই ভীষণ ভালোবাসি। এরকম যে কোনও ছবি এলে আমি প্রথম দিন প্রথম শো দেখতাম। এখনও তাই দেখি। তাই ইচ্ছে ছিল ভূতের গল্প লিখব। এতদিন বাদে সেটা সম্ভব হল।”
মৈনাকের মতে ভূতের ছবির নানারকম ধরণ আছে। কিন্তু সেই অর্থে হরর ছবি বাংলায় প্রায় হয়ইনি, যেখানে ভূত না থাকলেও গোটা ছবি জুড়ে একটা ভৌতিক ব্যাপার থাকে।
বিশ্বনাথের বারাণসী, বারাণসীর বিসমিল্লাহ
“আমি যে ধরণের ছবি করি,” মৈনাক বললেন, “সেগুলো করতে করতে একটা সময় মনে হল আমি ভূতের গল্প এত ভালোবাসি তাহলে সেরকম একটা ছবি বানাচ্ছি না কেন? তখন গল্পটা লিখে ফেললাম। আমার মনে হয়েছিল এই গল্পটা নিয়ে শাব্বির একটা ভালো ছবি বানাতে পারবে। আমার মাথায় এরকম একটা আইডিয়া ছিল যেখানে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র মত কয়েকজন বন্ধু কোথাও বেড়াতে যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে নানারকম অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গে গল্পে যদি একটা ভূতুড়ে ব্যাপার আনা যায় তাহলে দর্শকের ভালো লাগবে।”
খেল দিখা সকোগে না?
কিন্তু বাংলায় যেহেতু এখন থ্রিলার ছবির বাজার, তাই ভূতের ছবি দর্শক কিভাবে নেবেন সে ব্যাপারে কিছুটা সন্দেহ পোষণ করেন মৈনাক নিজেই। পুরনো প্রসঙ্গ টেনে বললেন, “সত্যজিতের ‘তিন কন্যা’ বহু মানুষ দুই কন্যা হিসেবেই দেখেন। ভূতের গল্পটাকে তারা বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু আজকের দিনে যেখানে পৃথিবীতে এতগুলো ‘কনজিওরিং’ তৈরি হচ্ছে, সেখানে বাংলায় ভালো ভূতের ছবি করলে চলবে না এটা কেন হবে? বাংলায় এরকম ছবি চলে না বলা হয়, কেন না তেমন ছবি তৈরিই হয় না। সারা পৃথিবীর মানুষের ভালো লাগলে এখানেও নিশ্চয়ই ভালো লাগবে।”
‘ভূত চতুর্দশী’র বিভিন্ন ভূমিকায় রয়েছেন আরিয়ান ভৌমিক, এনা সাহা, দীপশ্বেতা মিত্র, সৌমেন্দ্র ভট্টাচার্য ও প্রদীপ মুখোপাধ্যায়।
আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে ‘ভূত চতুর্দশী’।
ছবি: প্রতিবেদক