স্মরণে ভাস্কর চক্রবর্তী
কলকাতা: ভাস্কর চক্রবর্তী আর কবিতা সর্বদাই যেন মিলেমিশে একাকার। জীবৎকালে তাঁকে কফিখানায় বা রাস্তায় হাঁটতে দেখলে বাংলার লেখককুলের কেবলই কবিতার কথা মনে হত। নিভৃতে কখনও কবিতার কথা ভাবলেই কবিদের চেতনায় চলে আসতেন ভাস্কর। এই শহরে অনেকেই তাঁর সঙ্গে হেঁটেছেন মাইলের পর মাইল। সকাল চলে গেছে সন্ধ্যায়, দুপুর আর বিকেল না ছুঁয়ে, তবুও শেষ হয়নি কবিতা নিয়ে আড্ডা।
“মৃত্যুর কোনো সময়জ্ঞান নেই। এলেই হল,” লিখেছিলেন ভাস্কর। ২০০৫ সালে ২৩ জুলাই প্রয়াত হন তিনি। পরের বছর একই দিনে প্রথমবারের মত আয়োজন করা হয় ভাস্কর স্মরণসন্ধ্যা। এরপর প্রতি বছরই ওই দিনে আয়োজিত করা হয় ‘ভাস্কর চক্রবর্তী স্মরণ-সন্ধ্যা ও স্মৃতি বক্তৃতা’। এই বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। বিগত বছরগুলোতে এই বক্তৃতা দিয়েছেন অশ্রুকুমার সিকদার, সৌরীন ভট্টাচার্য, অনিরুদ্ধ লাহিড়ী, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, মৃদুল দাশগুপ্ত, যশোধরা রায়চৌধুরী ও শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের মত বিদ্বজনেরা। ২০১৯ সালের ভাস্কর চক্রবর্তী স্মারক বক্তৃতা দেবেন বিশিষ্ট অধ্যাপক চিন্ময় গুহ। অনুষ্ঠানের আয়োজক ‘প্রতিবিম্ব’ ও ‘দশমিক’ সাহিত্য পত্রিকা।
তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে
‘প্রতিবিম্ব’র সম্পাদক প্রশান্ত মাজী রেডিওবাংলানেট-কে জানালেন, “প্রথমদিকে ভাস্করের স্মরণে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করতেন ওঁর স্ত্রী বাসবী চক্রবর্তী। গত কয়েক বছরে অনুষ্ঠানটি তাঁর একার পক্ষে আয়োজন করা বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। তখনই এগিয়ে আসে ‘প্রতিবিম্ব’ ও ‘দশমিক’। বক্তৃতার বিষয়টি বক্তাদের ওপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এই বছর ‘নির্বাচিত ভাস্কর চক্রবর্তী স্মারক বক্তৃতা’ বইটি প্রকাশ করবেন কবি স্বপন চক্রবর্তী।”
বক্তৃতা ছাড়াও ভাস্করের নির্বাচিত কবিতা ও গদ্য পাঠ করবেন সংঘমিত্রা হালদার, চৈতালী চট্টোপাধ্যায় ও শর্মিলা রায়। বরাবরই তরুণ কবিদের উৎসাহ দিতে এগিয়ে আসতেন ভাস্কর। তাই এই বছর প্রথমবার ভাস্কর চক্রবর্তী স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়।
ভাস্কর অনুরাগীদের এবারের জমায়েত অবনীন্দ্র সভাগৃহে।