মহাজাগতিক অনুসন্ধানে বরুণ চন্দ, অরিত্র
RBN Web Desk: পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনও গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা এই নিয়ে বিজ্ঞান জগতে বিবাদের অন্ত নেই। ছোটবেলায় পড়া সত্যজিৎ রায়ের ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’ হোক কিংবা হৃত্বিক রোশন ও প্রীতি জ়িন্টা অভিনীত ‘কোই মিল গ্যায়া’ ছবির জাদু, এলিয়েন নিয়ে মানুষের কৌতুহল বরাবরই বেশি। আমাদের মিল্কি ওয়ে বাদ দিলে আরও কত শত গ্যালাক্সি যে মহাজগতে ছড়িয়ে রয়েছে তার হিসাব নেই। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কিছুটা জানা গেলেও বেশিরভাগটাই আজও অধরা। ফলত যুগের পর যুগ ধরে চলেছে এই আশ্চর্য, অবিশ্বাস্য সত্য উন্মোচনের পিছনে আসল রহস্য খোঁজা। সেই রহস্যকে আরও একটু উসকে দেবে রুদ্রজিৎ রায় পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘ওয়েভলেন্থ’।
অ্যাস্ট্রোফিজ়িক্সের ছাত্র অভিমন্যু প্রমাণ করেই ছাড়বে পৃথিবী ছাড়াও অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে। তার ঠাকুরদা হিমাদ্রী সেন নামকরা জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিলেন। হিমাদ্রী নিজে এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়ালের অস্তিত্ব নিয়ে এককালে অনেক গবেষণা করলেও বর্তমানে তিনি ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত। তার গবেষণা সফল হওয়া সত্ত্বেও কোনও এক অজানা কারণে তিনি তা বন্ধ করে দেন এবং কাজের জগত থেকে অবসর নেন। পরবর্তীকালে তার নাতি অভিমন্যু কি এই গবেষণা সফল করতে পারবে? পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনও গ্রহে আদৌ কি প্রাণ খুঁজে পাওয়া সম্ভব? মহাজাগতিক অনুসন্ধানে কি সফল হবে অভিমন্যু?
আরও পড়ুন: শেষের সেদিন, উপস্থিত ছিলেন শুধু মহেশ ও ড্যানি
কলকাতার পটভূমিতে কল্পবিজ্ঞানের ওপর কোনও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি সম্ভবত এই প্রথম। ‘ওয়েভলেন্থ’-এ অভিমন্যুর চরিত্রে রয়েছেন অরিত্র দত্ত বণিক এবং হিমাদ্রীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন বরুণ চন্দ। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন রাহুল রায়। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সৌম্য ঋত।
ছবির শুটিং শেষ। বর্তমানে পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে শীঘ্রই মুক্তি পাবে ‘ওয়েভলেন্থ’।