বাবার সঙ্গে কাজ করাটাই সবথেকে বড় পাওয়া: অর্জুন
RBN Web Desk: ‘অপু’ হয়ে উঠতে তাঁর কোনও অসুবিধা হয়নি এ কথা তিনি আগেও বলেছেন। কারণ সত্যজিৎ রায়ের ট্রিলজির মতো করে নয়, অপুকে তিনি নিজের মতো করে ভেবেছিলেন। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অপরাজিত’ উপন্যাসের শেষাংশ নিয়ে পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর ছবি ‘অভিযাত্রিক’-এ অপূর্ব রায় বা অপুর ভূমিকায় রয়েছেন অর্জুন চক্রবর্তী।
অতিমারির কারণে ছবির মুক্তি এক বছরেরও বেশি সময় পিছিয়ে গেছে। “অপু ট্রিলজি একটা ল্যান্ডমার্ক কাজ। সেই একই গল্পের বাকি অংশ নিয়ে করা একটা ছবির অংশে থাকতে পারা আমাদের সকলেরই সৌভাগ্য। শুভ্রজিৎদার চিত্রনাট্যের তুলনা হয় না। আমি খুব আশা করছি যে দর্শক ছবিটাকে ভালোবাসবেন,” ছবির সঙ্গীত প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে রেডিওবাংলানেট-কে জানালেন অর্জুন।
আরও পড়ুন: শেষের সেদিন, উপস্থিত ছিলেন শুধু মহেশ ও ড্যানি
বাঙালি দর্শক চিরকালই নস্টালজিয়া প্রিয়। অপুর চরিত্রে অর্জুনের অভিনয় করা নিয়ে কখনও কোনও বিরূপ সমালোচনা শুনতে হয়নি? “খুবই কম,” জানালেন অর্জুন। “একেবারে শুরুর দিকে সেটা সামান্য দেখেছিলাম। কারোর-কারোর মনে হয়েছিল আমি নিজেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ভাবছি। কেন এমন মনে হয়েছিল জানি না। আমি নিজের মতো করেই চরিত্রটা করেছি। তবে পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছি এই ছবিটাকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ রয়েছে।”
বাবা সব্যসাচী চক্রবর্তীর সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখা যাবে অর্জুনকে। ‘অভিযাত্রিক’-এ বিভূতিভূষণের আরেক আইকনিক চরিত্র, শঙ্করের ভূমিকায় রয়েছেন সব্যসাচী। কেমন ছিল বাবা-ছেলের এই যুগলবন্দি? “কেমন ছিলর থেকেও বড় কথা এই ছবিতে আমি প্রথমবার বাবার সঙ্গে কাজ করলাম,” প্রায় এক নিঃশ্বাসে বললেন অর্জুন। “একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা অবশ্যই দারুণ। বিভূতিভূষণের দুটো বিখ্যাত চরিত্রে আমরা ছিলাম, এটা সত্যিই মনে রাখার মতো একটা ব্যাপার। তবে আমার কাছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার ছিল বাবার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা। সেই ‘গানের ওপারে’র পর আর কখনও বাবার সঙ্গে কাজ করা হয়ে ওঠেনি। সেটা আমি দারুণ এনজয় করেছি।”
৩ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে ‘অভিযাত্রিক’।
ছবি: স্বাতী চট্টোপাধ্যায়