এত দীর্ঘ সংলাপ আর কোনও ছবিতে বলতে হয়নি: অনির্বাণ
কলকাতা: ‘গুমনামী’র মতো এত দীর্ঘ সংলাপ এখনও অবধি তাঁকে আর কোনও ছবিতে বলতে হয়নি, এমনটাই জানালেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান সংক্রান্ত তদন্তের জন্য ১৯৯৯ সালে গঠিত মুখার্জী কমিশনের রিপোর্ট অবলম্বনে ‘গুমনামী’ পরিচালনা করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। এই ছবিতে এক সাংবাদিকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অনির্বাণ। ‘গুমনামী’র অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তী ও বিপ্লব দাশগুপ্ত।
সম্প্রতি শহরে এক অনুষ্ঠানে রেডিওবাংলানেট-কে অনির্বাণ জানালেন, “ছবিতে আমার সংলাপগুলো যে শুধু দীর্ঘ তাই নয়, সেগুলোর মধ্যে ঐতিহাসিক তথ্যও অনেক। যেহেতু একটি সরকারী তদন্ত কমিশনের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এই ছবি, তাই তারিখ, ঘটনাক্রম, একাধিক জাপানী ও ভারতীয় নাম পুঙ্খানুপুঙ্খ মনে রাখতে হয়েছে সংলাপ বলার সময়।”
‘গুমনামী’তে অনির্বাণের অভিনীত চরিত্রটির নাম চন্দ্রচূড় ধর। “আমার মনে হয়েছিল চন্দ্রচূড় যত বেশি তাঁর সংলাপ ও তথ্যের ওপর দখল আনতে পারবে, পর্দায় তত বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবে এই চরিত্রটি,” জানালেন অনির্বাণ। “এই ছবির চিত্রানাট্য নিয়ে আমাকে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয়েছে।”
আরও পড়ুন: গান শেষ আর জান শেষ তো একই কথা রাজামশাই
ঘোষণার পর থেকেই একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে ‘গুমনামী’। সৃজিতের মতে, তাঁর অন্য কোনও ছবি এতটা বিরোধীতা বা সমর্থন পায়নি। ‘গুমনামী’ই কি তাহলে অনির্বাণের সব থেকে বিতর্কিত ছবি?
“বিতর্ক নিয়ে আমি ভাবিত নই,” বললেন অনির্বাণ। “একজন অভিনেতা হিসেবে একটি চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলাই আমার কাজ। আমি কতটা ভালো অভিনয় করলাম, আগের থেকে আমার কাজ আরও উন্নত হলো কি না, এগুলোই আমার কাছে মূল বিষয়। তবে অনেকেই ‘গুমনামী’র বিষয়বস্তু না জেনেই মন্তব্য করছেন। আমার মনে হয় ছবিটা মুক্তির পর সৃজিতের হাত আরও শক্ত হবে, কারণ মানুষ নেতাজীর অন্তর্ধান সংক্রান্ত অনেক তথ্য জানতে পারবেন যেগুলো একেবারে কমিশনের রিপোর্ট থেকে তুলে আনা।”
২ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে ‘গুমনামী’।
ছবি: অর্ক গোস্বামী