এই অবস্থায় বাড়ি থেকে শুটিং করা অনেক ভালো, দাবি অনন্যার
RBN Web Desk: করোনার আবহে বেড়েছে লকডাউনের মেয়াদ। নিত্যদিনের বেশিরভাগ কাজই এখন বাড়িতে বসে করতে হচ্ছে। এবার সেই পথে পা বাড়াল বাংলা ধারাবাহিকও। সম্প্রতি ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’, ‘বরণ’ ও ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের শুটিংও শুরু হয়েছে বাড়ি থেকেই। তার জেরেই টেকনিশিয়ন ফেডারেশনের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন ধারাবাহিকের কর্তৃপক্ষ।
সেই নিয়েই এবার মুখ খুললেন ‘বরণ’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রী অনন্যা বিশ্বাস। একদম কর্মহীন হয়ে কোনওরকম আয় ছাড়া বাড়িতে বসে থাকার চেয়ে ঘরে বসে কাজ করা শ্রেয় বলেই মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, বর্তমান আবহে ধারাবাহিকগুলি কিছুটা হলেও দর্শককে ভালো রাখার চেষ্টা করছে। সারাদিনের কাজের পর দর্শকও নতুন এপিসোডের অপেক্ষা করে থাকেন। তাই এহেন পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে শুটিং করার পক্ষপাতী অনন্যা।
আরও পড়ুন: শেষ দৃশ্যে ভাঙা হোল্ডার, সত্যজিতের জয়জয়কার
টেকনিশিয়ন ফেডারেশনের সঙ্গে কোনওরূপ আলোচনা না করেই বাড়ি থেকে শুটিং শুরু করার অভিযোগে ধারাবাহিকগুলির কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠান সংগঠনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। যে কোনও শুটিংয়ের ক্ষেত্রে অভিনেতাদের পাশাপাশি দরকার টেকনিশিয়নদেরও। তাই বাড়িতে বসে শুটিংয়ের ফলে ধারাবাহিকের গুণগত মান কমে যাওয়ার পাশাপাশি মেকআপ শিল্পীরাও কাজ করতে পারছেন না বলে দাবি করেছে ফেডারেশন।
আরও পড়ুন: তিনবার অভিনেতা পাল্টে ‘গুপী’ হলেন তপেন
তবে অনন্যার কথায়, ধারাবাহিকগুলি নিয়মিত সম্প্রচার হতে থাকলে তারা সকলেই পারিশ্রমিক পাবেন। হয়তো বাড়ি থেকে শুটিংয়ের কারণে পারিশ্রমিক কমতে পারে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কর্মহীন হয়ে থাকার চেয়ে বাড়ি থেকে শুটিং করা অনেক ভালো।
ইতিমধ্যেই এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বাড়ি থেকেই শুটিং করার অনুমতি দিয়েছে ফেডারেশন। বেশ কিছু পর্বের শুটিংও সেরে ফেলেছেন তাঁরা। অনন্যাও বাড়িতেই বসেই শুট করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন তার অভিনীত অংশ। প্রয়োজনে রিটেকও নিতে হচ্ছে তাঁকে।