প্রয়াত ‘প্রফেসর নাটবল্টুচক্র’র স্রষ্টা অদ্রীশ বর্ধন
কলকাতা: চলে গেলেন ‘প্রফেসর নাটবল্টুচক্র’র স্রষ্টা অদ্রীশ বর্ধন। আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই সাহিত্যিক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজণিত নানান সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
কল্পবিজ্ঞানের জগতে হাসির মোড়কে বৈজ্ঞানিক অ্যাডভেঞ্চারের নায়ক ‘প্রফেসর নাটবল্টুচক্র’ তৈরি করেছিলেন অদ্রীশবাবু। ছোটরা ছাড়াও বড়দের মাঝেও সমান জনপ্রিয় ছিল এই চরিত্রটি।
সাধারণ বাঙালি পাঠকের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা নেয় অদ্রীশবাবুর কলম।
বিজ্ঞানে বাংলার বা বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার প্রতি সব সময় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অদ্রীশবাবু। সহজ, সরল ভাষায় তাঁর লেখনী আকৃষ্ট করেছে সব বয়সের পাঠককেই। ১৯৬৩ সালে তিনি প্রকাশ করেন কল্পবিজ্ঞান পত্রিকা ‘আশ্চর্য’। এরপর সম্পাদনা করেন ‘ফ্যানটাসটিক’ পত্রিকাটিও। দুটি পত্রিকাই বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বাংলাদেশের সাহিত্য পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন তিনি।
ছ’মাসের মধ্যেই যবনিকা, হতাশ শিল্পীরা
‘প্রফেসর নাটবল্টুচক্র’ ছাড়াও ‘ফাদার ঘনশ্যাম’, ‘ইন্দ্রনাথ রুদ্র’, ‘জিরো গজানন’, ‘চাণক্য চাকলা’, ‘রাজা কঙ্ক’ ও ‘নারায়ণী’ তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলির মধ্যে অন্যতম।
বাংলা অনুবাদ সাহিত্যেও অদ্রীশবাবুর অবদান মনে রাখার মত। তাঁর অনূদিত জুল ভার্ন, আর্থার কনান ডয়েলের ‘শার্লক হোমস’ এবং এডগার অ্যালেন পো রচনাসমগ্র বিশেষভাবে উল্লেখ্য।