সারা বছর এরকম কাজ আসতে থাকুক: স্বস্তিকা
RBN Web Desk: সারা বছর যেন এভাবেই নতুন ছবি আসতে থাকে, পয়লা বৈশাখের দিন ‘দুর্গাপুর জংশন’ (Durgapur Junction) ছবির ট্রেলার লঞ্চে এসে বললেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্যের সঙ্গে এটি তাঁর দ্বিতীয় ছবি। এর আগে পরিচালকের ‘শিবপুর’ ছবির মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন তিনি। এই ছবিতে স্বস্তিকা ছাড়াও রয়েছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও একাবলী খান্না।
নতুন বছরের প্রথম দিনে স্বস্তিকার স্মৃতিতে উঠে এলো তাঁর মায়ের কথা। “আমার মা বলতেন বছরের প্রথম দিন যা করবে সেটার রেশ সারা বছর থেকে যায়। আসলে বাবা-মা যখন থাকেন তখন আমরা বুঝি না, চলে গেলে তখন সেই কথাগুলো মনে পড়ে,” রেডিওবংলানেট-কে বললেন স্বস্তিকা।
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট বাঙালির চরিত্রে সইফ, শুটিং শুরু শীঘ্রই
“আজ আমার টিমের সকলে এসেছিল আমার বাড়িতে। তারপর এখানে এসে সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলো যাদের সঙ্গে সারাবছরই দেখা হয়ে যায়, আর আজ একটা নতুন ছবির ট্রেলার বেরোচ্ছে, এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে! এভাবেই ভালো-ভালো কাজের মধ্যে দিয়ে চলুক বছরটা এটুকুই চাইব,” বললেন তিনি।
এই ছবিতে স্বস্তিকা একজন সিনিয়র সাংবাদিকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। “ছবিতে আমার মুখে এরকম সংলাপ আছে যে প্রয়োজনে কিডনি বেচা যায় কিন্তু শিরদাঁড়া বেচা যায় না। এটা আমার খুব প্রিয় সংলাপ। সেই কারণেই বলেছি এটা। এছাড়া যেহেতু ছবিটা থ্রিলার তাই চরিত্র নিয়ে বেশি কিছু বলা মুশকিল,” জানালেন তিনি।
আরও পড়ুন: ছবি পরিচালনায় রাধিকা আপটে
বিক্রমের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে স্বস্তিকা জানালেন, “আমরা একসঙ্গে ‘সাহেব বিবি গোলাম’ করেছিলাম অনেক বছর আগে। তারপর আর একসঙ্গে ছবি করা হয়নি। এবারে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝলাম বিক্রম অভিনয়ের দিক দিয়ে আগের থেকে অনেক পাল্টেছে। অভিনেতা হিসেবে আমরা তো প্রতিদিন শিখি বা নতুন অভিজ্ঞতা থেকে সমৃদ্ধ হই। ও তো বেশিরভাগ রমকম চরিত্র করে থাকে। সেখান থেকে বেরিয়ে এখানে একটা সিরিয়াস চরিত্রে কাজ করেছে। খুব অন্যরকম একটা চরিত্র। গোটা ছবিটাই খুব সিরিয়াস একটা বিষয় নিয়ে।”
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঠাকুরপুকুর গাড়ি দুর্ঘটনার নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল স্বস্তিকার কাছে। স্বস্তিকার স্পষ্ট জবাব, “সবকিছু নিয়ে কেন আমাকে উত্তর দিতে হবে? এমনও হয়েছে আমি স্কুটি করে পাড়ার মোড়ে ওষুধ নিতে গিয়েছি, মাথায় হেলমেট নেই বলে আমাকে থামিয়ে প্রচুর প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় আমার পাশ দিয়ে হেলমেট ছাড়া বহু টু-হুইলার আরোহী বেরিয়ে গিয়েছিল। কাজেই কোন নিয়ম কীভাবে কাজ করে সবটা যে আমরা জাানি তেমন নয়। তবে যেটা অপরাধ সেটা অপরাধই। আমি যা খুশি করতে পারি না। আমার ইচ্ছে হলো আমি গিয়ে দুটো লোককে মেরে ফেললাম এটা কোনও ভুল হতে পারে না। এটার শাস্তি হওয়া উচিত।”
ছবি: প্রতিবেদক