একটুও যদি আনন্দ দিতে পারি, সেই জন্যই কাজ করে যাই: সৌমিত্র
কলকাতা: বয়স ৮৩। হাঁটার গতি একটু স্লথ। কিন্তু শিড়দাঁড়া এখনও ঋজু। আর তার জোরেই ক্যামেরার সামনে প্রায় প্রতিদিনই দাঁড়ানোর হিম্মৎ রাখেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখাতে পারেন ফেলুদা। নতুন নতুন চরিত্রে পাওয়া যায় তাঁকে।
“আমি তো অভিনেতা, মানুষকে আনন্দ দেওয়াই আমার কাজ। তাই যতদিন পারব কাজ করে যাব,” পরিচালক শ্যামল বসুর ছবি অস্তিত্ব-এর ট্রেলার লঞ্চে এসে সংবাদমাধ্যমকে বললেন সৌমিত্র। ছবিতে এক ঔপন্যাসিকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি।
“একটা সময় মনে হতো আমার এই পেশাটা বাকি অন্যদের থেকে অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের কোন উপকারটা হবে অভিনয় করে? কিন্তু যত বয়স বেড়েছে বুঝতে পেরেছি, তুমি যে কাজই করো না কেন, স্বরসন্ধানের পথ সেখান থেকেই পাওয়া যায়। এই যে মানুষকে কিছুটা হলেও আনন্দ দিতে পারছি, আমার কাজের সার্থকতা সেখানেই। তারও একটা মূল্য আছে,” বললেন সৌমিত্র।
যে মৃত্যু আজও রহস্য
অস্তিত্ব-এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন সৌমিত্র যার একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কারণ সেই উপন্যাসের বিষয়বস্তু শহরের যৌনপল্লী। নীতিপুলিশের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় তাকে। সইতে হয় লাঞ্ছনা। কাছের মানুষও দূরে সরে যেতে থাকে। একা হয়ে যান লেখক। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে পিছপা হন না।
রক্তবরণ মুগ্ধকরণ
ছবিতে অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন সুপ্রিয় দত্ত, ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, ও জিনিয়া রায়চৌধুরী। পরিচালক নিজেও আছেন একটি ছোট চরিত্রে। শ্যামলের সাথে এটি সৌমিত্রর দ্বিতীয় ছবি। আগের ছবি জাল মু্ক্তি পেয়েছিল মে মাসে। এক মানব পাচারকারীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
অস্তিত্ব-এর মুক্তি ১০ আগস্ট।
ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা