ব্যাপক ট্রোলের মুখে ‘তিতলি’
RBN Web Desk: ব্যাপক ট্রোলের মুখে পড়ল ‘তিতলি’। মেগাধারাবাহিকে গল্পের স্বার্থে অবাস্তব ঘটনা হামেশাই দেখানো হয়। কিন্তু ‘তিতলি’র নতুন প্রোমো যেন গল্পের গরুর গাছে ওঠাকেও ছাপিয়ে গেছে। এই ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র তিতলি কানে শুনতে পায় না, অন্যের বডি ল্যাঙ্গুয়জকে অনুসরণ করে তাদের কথা বুঝতে পারে।
এহেন বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন তিতলি বিমানচালিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখে। গতকাল প্রকাশিত এক প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, তিতলি তার স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে প্রথমবার বিমানে উঠেছে। কিছুক্ষণ পর বিমানচালক অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিমানটি টালমাটাল হয়ে পড়ে। কাউকে পরোয়া না করে তিতলি সোজা ককপিটে ঢুকে পড়ে। পিছনে তার স্বামী সানি। কেউ তাদের কোনওরকম বাধা দেয় না।
আরও পড়ুন: যন্তর মন্তর কক্ষের নেপথ্যে
প্রসঙ্গত, অসামরিক বিমান পরিবহণের নিয়মানুযায়ী কোনো সাধারণ যাত্রীর ককপিটে প্রবেশ নিষিদ্ধ। এরপরেও কীভাবে এটা সম্ভব? এখানেই শেষ নয়, পাইলটের আসনে বসে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ তিতলি বিমানটি চালানো শুরু করে। কানে শুনতে না পাওয়ার কারণে, কন্ট্রোল রুম থেকে আসা নির্দেশগুলি শোনার জন্য তার স্বামীকে পরিয়ে দেয় একটি হেডফোন।
তিতলির নতুন এই প্রোমোটি প্রকাশিত হওয়ামাত্রই শুরু হয় ট্রোলিং। ধারাবাহিকের নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকারের উদ্দেশ্যে বয়ে যায় সমালোচক মন্তব্য। দর্শকদের প্রশ্ন, এরকম বাস্তববর্জিত চিত্রনাট্য তৈরি করার উদ্দেশ্য কী?
অনেকেই অভিযোগ করেছেন আগের ধারাবাহিকগুলির তুলনায় বর্তমানে মেগাধারাবাহিকগুলির ‘মান পড়ে গেছে’। এরকম প্রোমো দর্শকের সম্মুখে আসার পর এহেন বক্তব্যকে উপেক্ষা করা যায় না।
এর আগে ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের একটি দৃশ্যও একই ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হয়। সেখানে একটি দৃশ্যে এক মরণাপন্ন রোগীকে বাঁচিয়ে তুলতে চিকিৎসকের হাতে দেখানো হয়েছিল সস্তার স্ক্রাবিং প্যাড।
সাধারণ দর্শকদের একটাই বক্তব্য, বাস্তবের সঙ্গে অন্তত কিছুটা মিল রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয় না কেন?