টেলিভিশনে প্রথমবার আসছে ‘সহজ পাঠের গপ্পো’
RBN Web Desk: বাংলা ছবিতে গ্রাম আর প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে। রহস্য ও থ্রিলারপ্রিয় বাঙালির প্রিয় প্রেক্ষাপট এখন তাই উচ্চবিত্তের ড্রইংরুম থেকে উত্তরবঙ্গের আউটডোরেই সীমাবদ্ধ। এই দুইয়ের মাঝে পড়ে টালিগঞ্জের ছবি থেকে মেঠো বাংলার পথঘাট, প্রকৃতির ছোঁয়া বহুদিন হলো হারিয়ে গেছে। গল্পের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোনো ক্যামেরার আচমকা ক্লোজ় শট নেওয়া, ধারালো আবহ সঙ্গীতের দাপট, স্মার্ট কেতাদুরস্ত সংলাপ আমাদের ভুলিয়ে দেয় খেটে খাওয়া মানুষের নিত্য সংগ্রাম। অথচ ওর চেয়ে বেশি সত্যি আর কিছু নেই। সেই বাস্তবের দিন আনা দিন খাওয়া দরিদ্র বাংলাকে ক্যামেরার মধ্যে দিয়ে দর্শকের সামনে তুলে ধরেছিলেন পরিচালক মানস মুকুল পাল, তাঁর ‘সহজ পাঠের গপ্পো’ ছবিতে।
১৯৪৪ সালে লেখা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তালনবমী’ গল্প অবলম্বনে ২০১৬ সালে মুক্তি পায় ‘সহজ পাঠের গপ্পো’। গল্পের মূল চরিত্র দুটি অল্পবয়সী ছেলে, গোপাল ও ছোটু। মূল গল্পে স্বাধীনতাপূর্ব বাংলার কথা থাকলেও ছবিতে পরিচালক তাকে সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তুলে এনেছেন মুন্সিয়ানার সঙ্গে। অভাবের সংসারে বাবা অসুস্থ হওয়ায় গোপালকে তাল কুড়িয়ে বাজারে বেচে, অন্যের বাড়িতে ফাইফরমাস খেটে পরিবারের অন্ন সংস্থান করতে হয়। দুই ভাইয়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ
এর মধ্যে তালনবমীর দিন গ্রামের অবস্থাপন্ন বাড়িতে নিমন্ত্রণ পাবার আশা করে থাকে ছোটু। কিন্তু সে নিমন্ত্রণ আর আসে না। ততদিনে গোপাল বুঝে গেছে তাদের মতো গরীব ছেলেদের এসব আশা করতে নেই। এই করুণ গল্পটিকে ছবির রূপ দিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় সংযোজন করেছেন পরিচালক। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সামিউল আলম, নূর ইসলাম, শকুন্তলা বড়ুয়া ও স্নেহা বিশ্বাস। ছবির জন্য সামিউল ও নূর শ্রেষ্ঠ শিশু অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার পান।
২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি টেলিভিশনে প্রথমবার আসতে চলেছে ৪ অক্টোবর দুপুর ১টায়, স্টার জলসা চ্যানেলে।