মাটির গান, প্রাণের সুর
RBN Web Desk: সুকুমার রায়ের গঙ্গারাম সৎপাত্র হলেও, সে গানের সমঝদার ছিল কিনা জানা যায়নি। তবে এই গঙ্গারাম শুধু গানের সমঝদারই নয়, নিজের চারপাশের সমস্ত ধরণের আওয়াজ এমনকি শহুরে ক্যাকফোনিও তার কাছে সুরেলা। অ্যালার্ম ঘড়ির কানফাটানি আওয়াজ হোক কিংবা সাইকেলের কলিং বেল, সবকিছুতেই সুর মিশে আছে, এমনটাই বিশ্বাস তার। সেই গঙ্গারামের কাহিনীই এবার আসতে চলেছে টেলিভিশনের পর্দায়।
গ্রামের ছেলে গঙ্গারাম আদপেই গানপাগল। বাবার একটি গানের দল থাকলেও আচমকা এক কঠিন পরিস্থিতির শিকার হয়ে সংসার চালানোর দায়িত্ব গঙ্গারামের কাঁধে এসে পড়ে। ধুতি, পাঞ্জাবি, কাঁধে ঝোলা, পেতে আচড়ানো চুল নিয়ে সে শহরে হাজির হয়। কণ্ঠে তার মাটির গান, প্রাণের সুর। শহরে এসেই ধনী পরিবারের একমাত্র মেয়ে টায়রার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। এরপর এগোতে থাকে গল্প।
আড়ও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ
‘গঙ্গারাম’-এ নামভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিষেক বসু। টায়রার চরিত্রে রয়েছেন সোহিনী গুহ রায়। গঙ্গারামের একটা মস্ত বড় গুণ, সে কোনওরকম প্রথাগত প্রশিক্ষণ ছাড়াই সমস্ত রকম গ্রাম্য বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারে।
গানের কথা উঠতে অভিষেক বললেন, “আমি নিজে ছোট থেকেই গান নিয়ে চর্চা করি তাই এই চরিত্রের স্বার্থে আমার বেশ কিছু পূর্বপরিচিত বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে আবার পরিচয় ঘটছে।”
গ্রামের ছেলে শহুরে মেয়ে, অথবা শহুরে ছেলে গ্রামের মেয়ে এই চেনা ছন্দের ধারাবাহিকের সংখ্যা কম নয়। সেদিক থেকে ‘গঙ্গারাম’-এর বিশেষত্ব কী? “এটা স্নেহাশিস চক্রবর্তীর গল্প। অনেকসময় গল্পের প্রেক্ষাপট এক মনে হলেও বলার কায়দা বা অভিনয়, এগুলো এক একটা ধারাবাহিককে অন্যের থেকে আলাদা করে তোলে। সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় ‘গঙ্গারাম’ অন্যান্য ধারাবাহিকের থেকে ব্যতিক্রম হয়ে উঠবে,” বললেন অভিষেক। একই কথা মনে করেন সোহিনীও।
২৮ ডিসেম্বর থেকে রাত সাড়ে ৯টায় স্টার জলসার পর্দায় দেখা যাবে ‘গঙ্গারাম’।