বাংলায় কয়ামত কি রাত, উঠছে প্রশ্ন
RBN Web Desk: মহাকালী ও নাগিনের পর, এবার প্রথম সারির এক বাংলা বিনোদন চ্যানেলে আসতে চলেছে কয়ামত কি রাত। তবে হিন্দীতে নয়, বাংলায় ডাব্ড হয়ে। কয়ামত কি রাত নাম পাল্টে হয়ে যাচ্ছে নিশিরাতের হাতছানি।
কিন্তু এই হিন্দী ধারাবাহিকটি বাংলায় ডাব করে দেখানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে টালিগঞ্জে। বাংলা সাহিত্য যেখানে ভৌতিক ও অতিপ্রাকৃতিক গল্প-উপন্যাসের ভাণ্ডার, সেখানে কোন যুক্তিতে একটি হিন্দী ধারাবাহিক বাংলায় তর্জমা করে দেখানোর প্রয়োজন পড়ল, তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সৃষ্টিশীলতা ও নান্দনিক দিক বিচার করলে বিবেক দাহিয়া ও করিশ্মা তন্না অভিনীত কয়ামত কি রাত যথেষ্ট নিম্নরুচির। তা উত্তর ভারতের হিন্দী বলয়ে চলতে পারে, বাংলায় একেবারেই নয়। আর যদি হরর জঁর এর কোনও ধারাবাহিকের মাধ্যমে টিআরপি বাড়ানোর চিন্তাভাবনা থেকেই থাকে, তাহলে নতুন কোনও গল্প কেন লেখা হল না, এমন প্রশ্নই করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সমারোহে যীশু, বাকিটা ইতিহাস
উল্লেখ্য, সর্বভারতীয় বিভিন্ন হিন্দী বেসরকারী চ্যানেলগুলি যখন বাংলায় সম্প্রচার শুরু করে, তখন বেশ কিছু জনপ্রিয় হিন্দী ধারাবাহিক স্থানীয় ভাষায় ডাব করে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু সেটা বেশ কয়েক দশক আগের কথা। বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনে ভালো লেখক ও পরিচালকের কোনও অভাব নেই। শুধু তাই নয়, অরিন্দম শীল, অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের মত বড় পর্দার প্রতিষ্ঠিত পরিচালকরাও টেলিভিশন ধারাবাহিক তৈরি করছেন। এছাড়াও বিনিয়োগের দিক থেকে বাংলা টেলিভিশন এখানকার ছবির ইন্ডাস্ট্রির থেকে অনেকটাই বড়। সেখানে এমন কোনও মৌলিক চিত্রনাট্য কি পাওয়া গেল না যা থেকে চিত্তাকর্ষক কোনও হরর ধারাবাহিক তৈরি করা যায়?
যে মৃত্যু আজও রহস্য
এটাও মনে রাখা দরকার, ভারতের প্রত্যেকটি অঞ্চলের নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। একটার ওপর আরেকটা চাপিয়ে দেওয়া যায় না কোনওভাবেই। সেখানে মহাকালী, নাগিন বা কয়ামত কি রাত বাংলায় ডাব করে দেখালে দর্শক কি তা আদৌ গ্রহণ করবে?
আজ থেকে সম্প্রচার শুরু হচ্ছে নিশিরাতের হাতছানি ধারাবাহিকটি।