সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিতের উদ্যোগে রবি ঠাকুরের সঙ্গে কথোপকথনে গুলজ়ার
RBN Web Desk: ‘আজি হতে শতবর্ষ পরে/কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি কৌতূহলভরে’। ১৩০২ সালের ২ ফাল্গুন কবিতাটি রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)। কবিতার নাম ‘১৪০০ সাল’। সেই ১৪০০ পেরিয়ে এখন বাংলায় এই ১৪৩১ সালেও সেই রচনা তাঁর অনুরাগী পাঠকদের মনে কী পরিমাণ প্রভাব বিস্তার করেছে তার উজ্জ্বল নিদর্শন সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিতের নতুন নিবেদন, যেখানে কবিগুরুর প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশিষ্ট কবি গুলজ়ার (Gulzar)।
একশো বছরের বেশি সময় পরে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কথোপকথনে যোগ দিলেন গুলজ়ার, তাঁর নিজের রচনার মাধ্যমে। এক শতাব্দী আগে কবিগুরু জানতে চেয়েছিলেন তাঁর কবিতার প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী জুটি সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ (Sourendro-Soumyojit)।
নতুন এই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে শিল্পী জুটি জানালেন, “গত কুড়ি বছর ধরে আমরা সঙ্গীতকে মাধ্যম করে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা ও কাজ করে চলেছি। লকডাউনের সময় মুম্বই থেকে একটি অচেনা ফোন আসে। ফোনের ওপারে এক ব্যারিটোন কণ্ঠ জানান উনি আমাদের কাজের খোঁজ রাখেন। সে কণ্ঠ চিনে নিতে অসুবিধা হয়নি। নতুন ধরনের কোনও কাজ করা যায় কিনা সে ব্যাপারে সেদিন আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন গুলজ়ার। সেই মতো ভাবনাচিন্তা করে আমাদের মনে হয়েছিল কবিগুরুর সেই প্রশ্নের উত্তর যদি আজ গুলজ়ার তাঁর নিজের রচনার মাধ্যমে দেন তাহলে কেমন হতে পারে।”
আরও পড়ুন: ‘নকল’ মুকুলের দাবি মেনে শিক্ষিকাদের সরিয়ে দিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়
সেই পরিকল্পনা মতোই তৈরি হয়েছে এই ভিডিয়ো। সেই কবিতাই তিনি পাঠ করেছেন এই ভিডিয়োতে। এই প্রসঙ্গে গুলজ়ার জানালেন, “সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ দুজনেই খুব ক্রিয়েটিভ শিল্পী। ওদের ইচ্ছা ছিল আমি যদি গুরুদেবের এই কবিতার একটা উত্তর লিখি। কিন্তু আমার এত ক্ষমতা নেই যে গুরুদেবকে উত্তর দেব। তাও একটা কবিতা লিখলাম এই সূত্রে যে আজও উনি কতটা প্রাসঙ্গিক, আজও মানুষ তাঁকে ভালোবাসে, তাঁর কবিতা পড়ে। হয়তো গুরুদেব নিজেই আমাকে দিয়ে এই হোমওয়ার্ক করিয়ে নিলেন।”
রবীন্দ্রনাথ নিজে তাঁর ‘১৪০০ সাল’ কবিতাটি স্বকন্ঠে আবৃত্তি করেছিলেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে রবীন্দ্রনাথে ‘কন্ঠে’ সেই কবিতাটিও থাকছে। শুনলে মনে হবে দুই কবি নিজেদের মধ্যে কথোপকথন করছেন।
আজ রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তীতে ভিডিয়োটি মুক্তি পেয়েছে সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিতের ইউটিউব চ্যানেলে।