বড় পর্দার ধাঁচে ‘মুঘল-এ-আজ়ম’ ফিরল নাট্য মঞ্চে

কলকাতা: ১৯৬০ সালে মুক্তি পেয়েছিল পরিচালক কে আসিফের ছবি ‘মুঘল-এ-আজ়ম’। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ছবিগুলোর মধ্যে গণ্য করা হয় যুবরাজ সেলিম ও নর্তকী আনারকলির এই প্রেম কাহিনী। সেলিম-আনারকলির সেই ট্র্যাজিক রোমান্টিকতাই বড় পর্দার ধাঁচে সম্প্রতি নৃত্যনাট্যরূপে মঞ্চে ফিরিয়ে আনল ‘নৃত্য উপাসনা’ গোষ্ঠী তাদের ২৭তম বার্ষিক অনুষ্ঠানে। সাক্ষী থাকল পূর্ণ রবীন্দ্র সদন প্রেক্ষাগৃহ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘নৃত্য উপাসনা’র ছাত্রছাত্রীরা ‘সেলিব্রেশন’, ‘তমসা ছাইল’, ‘গৌরী এলো’, ‘জাগাও মেরা দেশ’, ‘ঢেউ কুচ কুচ’ প্রভৃতি গানগুলির সঙ্গে বিভিন্ন সৃজনশীল নৃত্য উপস্থাপন করেন। নৃত্যের মধ্যে উঠে এল বাংলার উৎসব, পরিবেশ দূষণ, দেশপ্রেমের মত বিষয়গুলি। প্রথম পর্বের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ৪৫০ জন ছাত্রছাত্রী।

গান শেষ আর জান শেষ তো একই কথা রাজামশাই

তবে সন্ধ্যার বিশেষ আকর্ষণ অবশ্যই ছিল ৮০ জন নৃত্যশিল্পীর সমন্বয়ে ‘মুঘল-এ-আজ়ম’। যুবক সেলিমের উশৃঙ্খলতা ও সেই অপূর্ণ প্রেমের কাহিনী দেখা গেল এই নৃত্যনাট্যে। কোরিওগ্রাফার কাশ্মীরা সামন্ত প্রজেকশনের মাধ্যমে মুঘল যুগটাকেই তুলে আনলেন মঞ্চে। ছিল পর্দা আর মঞ্চ সহ ত্রিমাত্রিক আধারের প্রয়োগ। ধ্রুপদী ও সমকালীন নৃত্যের সঙ্গে প্রসেনিয়াম থিয়েটারও ব্যবহার করা হল এই নৃত্যনাট্যে। সেলিম, আনারকলি, আকবর ও যোধার ভূমিকায় অভিনয় করলেন যথাক্রমে কৌশিক চক্রবর্তী, কাশ্মীরা, শুভাশীষ ভট্টাচার্য ও সুস্মিতা ভট্টাচার্য। রাজনর্তকী বাহারের ভূমিকায় ছিলেন বিশিষ্ট কথকশিল্পী নন্দিনী সিনহা। আলো প্রক্ষেপনের দায়িত্বে ছিলেন দীনেশ পোদ্দার। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে কণ্ঠদান করেন অরুময় বন্দ্যোপাধ্যায়, সুবীর মন্ডল ও আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী কমলিনী আস্থানা। এছাড়াও ছিলেন নৃত্যগুরু প্রদীপ্ত নিয়োগী ও অনুরাধা নিয়োগী।

ছবি: তরুণ বোস

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *