নৃত্যের তালে তালে শান্তি ফেরানোর পাঠশালা
কলকাতা: সমকালীন নৈরাজ্যের জটাজালে শিল্পকে যখন কাঞ্চনমুদ্রার দাঁড়িপাল্লায় বিচার করা হয়, সেই সময়ই সকল বন্ধ ঘুচিয়ে, সুপ্তি ভাঙিয়ে, চিত্তে মুক্ত সুরের ছন্দ জাগাতে নটরাজের ভূমিকা পালন করে নৃত্য। তাই এমনই এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ‘পাঠশালা ইনস্টিটিউট অফ পারফর্মিং আর্টস অ্যান্ড ফিটনেস’। পাশ্চাত্য নৃত্যের সম্প্রতিকীকরণ ছাড়াও জ়ুম্বা ফিটনেসের মত আধুনিক বিষয়েও ট্রেনিং দিয়ে থাকে পাঠশালা।
সংস্থার কর্ণধার প্রতিম রায় জানালেন, “নাচ এমন একটা শিল্প যা জীবনকে আলোকিত করে। আর এই ভাবনা থেকেই এ বছর আমরা আধুনিক এবং লোকনৃত্য ভাবধারার সমন্বয় ‘মিট্টি’ উপস্থাপন করতে চলেছি যা বর্তমান অস্থির পরিস্থিতির জোয়ার সামলে মানুষকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন স্রোতে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা দেবে।”
গান শেষ আর জান শেষ তো একই কথা রাজামশাই
এ বছর একটি পূর্ণাঙ্গ নৃত্যনাট্য উপস্থাপন করছে পাঠশালা। একটি গ্রাম ও তার মানুষদের প্রাথমিক পারস্পরিক সংঘাত এবং সেখান থেকে শান্তি ফেরানোর বার্তা, এরকমই একটি নৃত্যনাট্য উপস্থাপনা করতে চলেছে সংস্থাটি। নৃত্যনাট্যের পরিচালনা করেছেন প্রতিম নিজেই। পোশাক ভাবনার দায়িত্বে আছেন সোহিনী বসু। প্রতিম ছাড়াও নৃত্য পরিচালনা করছেন দেব আম্বুলি ও বিশ্বজিৎ রজক।
যে জন থাকে মাঝখানে
“বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্র, উষসী রায় ও সোলাংকি রায়ের মত শিল্পীরাও যুক্ত রয়েছেন ‘পাঠশালা’র সঙ্গে,” জানালেন প্রতিম।
৭ই জুলাই উত্তম মঞ্চে নৃত্যের তালে তালে ও অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষের মনে আত্মবিশ্বাসের বীজকে অঙ্কুরিত করবে ‘মিট্টি’।