অবাঙালি শিল্পীদের উপস্থাপনায় মঞ্চস্থ হতে চলেছে ‘সম্পূর্ণ মায়ার খেলা’
RBN Web Desk: সময়টা ১৮৮৪ সাল। ‘নলিনী’ নামের একটি গীতি আলেখ্য রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পরবর্তীকালে তাঁর স্নেহভাজন সরলা রায়ের অনুরোধে এই ‘নলিনী’ অবলম্বনেই রচনা করলেন নৃত্যনাট্য ‘মায়ার খেলা’। ১৮৮০-এর দশকের শেষের দিকে তা বেথুন কলেজে মঞ্চস্থ হয়। মঞ্চের উপযোগী করার জন্য অনেক পরিবর্তন আনা হয় সেই নৃত্যনাট্যে। বিশেষত রবীন্দ্রনাথ সেই সময় পাশ্চাত্য ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হওয়ার কারণে সম্পূর্ণ নৃত্যনাট্যটিকে অপেরার রূপ দেন।
গানের ক্ষেত্রেও ধ্রুপদী ভারতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে ইউরোপীয় সুরের মিশ্রণ দেখা গেছে ‘মায়ার খেলা’য়। এই নৃত্যনাট্যের কিছু গানে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ইন্দিরা দেবী সুরারোপ করেছেন বলে জানা যায়। স্বরলিপিও তাঁরাই রচনা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: অভিনব বিষয় নিয়ে ত্রিদিবের প্রথম ছবিতে শ্রাবন্তী-সাহেব
পরবর্তীকালে তিরিশের দশকে যখন আবারও এই নৃত্যনাট্যটি মঞ্চস্থ হয় তখন রবীন্দ্রনাথ নিজেই প্রধান চরিত্র অমরের ভূমিকায় আশ্রমকন্যা মৃণালিনী স্বামীনাথনকে নির্বাচিত করেন। মৃণালিনী ছিলেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী মল্লিকা সারাভাইয়ের মা।
সেই ‘মায়ার খেলা’ই আবার মঞ্চে আনতে চলেছে মোহর নাট্যগোষ্ঠী। রাবীন্দ্রিক ভাবনায় অনুপ্রাণিত মোহর সবদিক দিয়েই রবীন্দ্রনাথের আদর্শকে মেনে এসেছে। আশ্রমিক শিক্ষা অনুযায়ী তাঁরাও মুক্ত চিন্তার পক্ষপাতী। ধরাবাঁধা চিন্তার ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে এসে তাই তাঁদের আগামী নিবেদন ‘সম্পূর্ণ মায়ার খেলা’। মূল রচনাকে অবিকৃত রেখে সংগঠনের শিল্পীরা এই নৃত্যনাট্যের উপস্থাপনা করতে চলেছেন। মূল তিন চরিত্রের শিল্পীরা ছাড়াও অন্যান্য অনেকেই বাংলা ভাষাভাষী নন। তবু তাঁরাও উদ্বুদ্ধ হয়েছেন রবীন্দ্র ভাবনায়।
১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর জিডি বিড়লা সভাঘরে মঞ্চস্থ হতে চলেছে ‘সম্পূর্ণ মায়ার খেলা’।