স্থায়ী বইমেলা প্রাঙ্গনের প্রস্তাব মমতার
কলকাতা: প্রতি বছর সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কেই হোক কলকাতা বইমেলা। আজ ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তক মেলা উদ্বোধন করতে এসে এমন প্রস্তাব দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা ছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, শিল্পী শুভাপ্রসন্ন মজুমদার, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী ও বিধায়ক সুজিত বসু এবং কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ (ববি) হাকিম। এবারের বইমেলার থিম দেশ বাংলাদেশ। সে দেশ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কেএম খালিদ ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
১৯৭৬ সালে শুরু হওয়ার পর একাধিকবার বইমেলার স্থান বদল হয়েছে। শুরু থেকে ময়দানে আয়োজিত হলেও মাঝে এক বছর তা অনুষ্ঠিত হয় সল্টলেক স্টেডিয়ামে। এরপরে এক সময় পরিবেশ দূষণের কারণে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ময়দান থেকে বইমেলাকে তুলে নেওয়া হয়। তারপর কখনও সায়েন্স সিটির কাছে মিলনমেলা প্রাঙ্গনে, কখনও বা সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোভিডের কারণে ২০২১-এ বইমেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তা বাদে গত কয়েক বছর ধরে সেন্ট্রাল পার্কেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বইমেলা।
আরও পড়ুন: আবারও ‘বিজয়’ অমিতাভ, এবার শিক্ষক
“বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে অসুবিধায় পড়েন প্রকাশক ও বইপ্রেমীরা,” বললেন মমতা। “আমি ববিকে অনুরোধ করব এবার থেকে যেন সেন্ট্রাল পার্কেই বইমেলার আয়োজন করা হয়।”
সেন্ট্রাল পার্কের নাম বদলে বইমেলা প্রাঙ্গন করারও প্রস্তাব দেন তিনি।
যদিও মিলনমেলা প্রাঙ্গনকে সবরকম আন্তর্জাতিক মেলার উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই গত কয়েক বছর বইমেলাকে সেন্ট্রাল পার্কে তুলে আনা হয়েছে, আশা করা যায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে এখন থেকে এখানেই পাকাপাকিভাবে কলকাতা বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকেসলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশুশেখর দে ও সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়।
মমতার লেখা ১২টি বই আজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।