শিল্পীসত্ত্বার দ্বন্দ্বে গৌরব, অনিন্দ্য, কমলেশ্বর, তনুশ্রী

RBN Web Desk: শিল্পের সার্থকতা কি শুধুমাত্র ব্যবসায়িক সাফল্যে? নাকি সৃষ্টির মধ্যেই লুকিয়ে থাকে শিল্পীর তৃপ্তি? এ তর্ক চিরকালের। ব্যবসায়িক সাফল্য শিল্পের প্রকাশের ক্ষেত্রে কি শিল্পীর স্বাধীনতাকে খর্ব করে না? এমনই এক চিরাচরিত দ্বন্দ্বের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে সুদীপ্ত লাহার প্রথম ছবি ‘কারণ গ্রিস আমাদের দেশ না অথবা ব্লু-ব্ল্যাক ও ট্রান্সপারেন্ট হোয়াইট’ (Karon Greece Amader Desh Na Athoba Blue-Black O Transparent White)। ছবির ভেতর রয়েছে আর একটি ছবি তৈরির গল্প যেখান থেকে উঠে আসবে শিল্পীসত্ত্বার সঙ্গে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধের টানাপোড়েন। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ছবির পোস্টার। 

ছবির মূল চরিত্র সুদীপ্ত। সে একজন চিত্র পরিচালক। তার প্রথম ছবিটি একেবারেই চলেনি। অথচ সে এমন এক ছবি বানাতে চায় যা সকলের ভালো লাগবে এবং তার ভেতরের শিল্পীকেও তৃপ্ত করবে। সুদীপ্ত অত্যন্ত হতাশাগ্রস্ত এবং স্বার্থপর দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ। ভালো কাজ করার জন্য কোনওরকম ত্যাগস্বীকার করতে তার আপত্তি আছে। অগত্যা প্রযোজকের মন রাখতে তাকে নিম্নমানের থ্রিলার ছবি বানাতে হয়। একদিন নিজের দিদির বাড়িতে শুটিং করার সময় এক চিত্রশিল্পীর সঙ্গে সুদীপ্তর আলাপ হয়। এই শিল্পীর চিন্তাধারা সুদীপ্তকে ধন্ধে ফেলে দেয়। এই শিল্পীর কোন ছবি আজ অবধি বিক্রি হওয়া দূর কোথাও প্রদর্শিতই হয়নি। সুদীপ্তর ভেতরের অহঙ্কার প্রথমবার কোথাও ধাক্কা খায়। কি করবে এবার সে? তার স্বপ্নের ছবি কি আদৌ বানানো হবে? 

আরও পড়ুন: গদির লড়াই এবার বড়পর্দায়

অভিনয়ে সুদীপ্তর ভূমিকায় রয়েছেন অনিন্দ্য সেনগুপ্ত। তার দিদির ভূমিকায় থাকবেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। চিত্রশিল্পীর ভূমিকায় রয়েছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। এছাড়া অনিন্দ্যর ছবির নায়কের চরিত্রে আছেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়, নায়িকা রাজেশ্বরী পাল এবং প্রযোজকের চরিত্রে কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন পার্থ সারথি।

Karon Greece Amader Desh Na

সুদীপ্ত লাহা

ছবি প্রসঙ্গে সুদীপ্ত লাহা জানালেন, “একটি ছবির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গল্প নয়, মানুষকে আকর্ষণ করে এথিকাল ও মরাল ডিলেমার মধ্যে দিয়ে যাওয়া কোনও ব্যক্তি বিশেষের কন্ডিশন, সিচুয়েশান এবং পারিপার্শ্বিকের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি। একটা সিনেমা কতটা ভালো সেটার থেকেও জরুরি হলো সম্পূর্ণ ম্যানিপুলেশন বর্জিত একটা সিনেমা তৈরি হওয়া। তাই এই ছবিতে কোনও আবহ সঙ্গীত নেই। বেশিরভাগ দৃশ্যের মাঝে কোনও কাট নেই এবং ক্লোজ শটের ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে।”

ছবির চিত্রগ্রহণ করেছেন উত্তরণ দে। সম্পাদনায় আছেন অনির্বাণ মাইতি। ছবিতে সঙ্গীত সংযোজন করেছেন শিলাজিৎ চক্রবর্তী।

আগামী বছর মুক্তি পাবে ‘কারণ গ্রিস আমাদের দেশ না অথবা ব্লু-ব্ল্যাক ও ট্রান্সপারেন্ট হোয়াইট’।




Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *