সতীশের প্রাণ কি বাঁচাতে পারবে কাদম্বিনী?
RBN Web Desk: বাবার উৎসাহে ভাগলপুরের প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে কাদম্বিনী এখন কলকাতায়। নিজের জীবনের লক্ষ্যে ব্রতী হওয়ার উদ্দেশ্যে দাদা মনমোহন বসু এবং মাস্টারমশাই দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কলকাতার স্কুলে পড়তে আসে কাদম্বিনী। কিন্তু হঠাৎই দ্বারকানাথের পুত্র সতীশ অসুস্থ হয়ে পড়ায় কাদম্বিনী মনপ্রাণ দিয়ে তার সেবা করতে থাকে। মায়ের সঙ্গে মতবিরোধ কাটিয়ে সতীশের প্রাণ কি বাঁচাতে পারবে কাদম্বিনী?
দেশের প্রথম মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনী অবলম্বনে ৬ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ধারাবাহিক ‘কাদম্বিনী’। ১৮৮৩ সালে, যখন বাঙালি পরিবারের মেয়েদের পড়াশোনা ছিল আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো অসম্ভব বিষয়, ঠিক তখনই কাদম্বিনী ও চন্দ্রমুখী বসু স্নাতক পাশ করেন। তাঁরাই ছিলেন ভারতের প্রথম দুই মহিলা স্নাতক। এর দু’বছর পর চিকিৎসাশাস্ত্রে স্নাতক হয়ে কাদম্বিনী বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ থেকে ডিগ্রি লাভ করেন। বিলেত থেকে ১৮৯২ সালে দেশে ফিরে ভারতের প্রথম মহিলা চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিস শুরু করেন কাদম্বিনী।
আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ
সেইসময় দাঁড়িয়ে একজন মেয়ে হয়েও কীভাবে তিনি তাঁর জীবনযুদ্ধে জয়ী হন সেই ইতিহাস অনেকেরই অজানা। কাদম্বিনীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও অসংখ্য মহান মানুষদের নাম যারা না থাকলে এদেশে স্ত্রীশিক্ষার সোনালী সূর্য হয়ত উঠতই না।
‘কাদম্বিনী’র নামভূমিকায় রয়েছেন ‘বকুল কথা’ খ্যাত ঊষসী রায়। দ্বারকানাথের চরিত্রে অভিনয় করছেন মনোজ ওঝা।
‘কাদম্বিনী’র দুই রুদ্ধশ্বাস পর্ব সম্প্রচারিত হবে আজ ও আগামীকাল রাত ৮.৩০ থেকে।