ধর্ম ও বিজ্ঞানের বিশ্বাস-অবিশ্বাসের গল্প

RBN Web Desk: আর পাঁচটা মেয়ের থেকে গৌরী একটু আলাদা। রটন্তী কালীপুজোর রাতে ভয়ানক এক পথ দুর্ঘটনায় বাবা-মাকে হারিয়ে ফেলে সদ্যজাত গৌরী। তারপর থেকেই পুরোহিত দাদু রঘুনাথের ছায়ায় সে বড় হয়ে ওঠে। সেদিনের দুর্ঘটনার পর গৌরীর জীবিত থাকাও যেন এক অলৌকিক ব্যাপার। তবে রঘুনাথের ছেলে  নিবারণ এখনও গৌরীকে নিজের মেয়ে হিসেবে মেনে নিতে পারেননি।

রোজ সকালে দাদুর সঙ্গে মন্দিরে গিয়ে গান গেয়ে মা কালীর ঘুম ভাঙানো থেকে শুরু করে কেউ অসুস্থ হলে তাকে টোটকা দিয়ে তৎক্ষণাৎ রোগের নিরাময় করতে গৌরীর জুড়ি মেলা ভার। তার গলায় শ্যামাসঙ্গীত যে একবার শুনবে সে ভুলতে পারবে না। কালী যেন স্বয়ং তার মধ্যে বিরাজমান।

আরও পড়ুন: আবারও ‘বিজয়’ অমিতাভ, এবার শিক্ষক

অন্যদিকে, পারিবারিক গ্রহরত্নের ব্যবসায় মুখোপাধ্যায় বাড়ির বেশ খ্যাতি। তাদের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন জাগ্রত ঘোমটা কালী। স্থানীয়দের মধ্যে জনশ্রুতি, যেদিন স্বয়ং মা পার্বতী এবং মহাদেবের মানব অংশের মিলন হবে, সেদিন ঘটবে এক মহাজাগতিক ও অলৌকিক ঘটনা। ওই বাড়ির ছেলে ঈশান পেশায় ডাক্তার। বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত ঈশানের মনে অযৌক্তিক, অন্ধবিশ্বাসের কোনও স্থান নেই। সে মনে করে ধর্ম এবং দেবতার নামে এগুলো আসলে বুজরুকি।




এই মুখার্জি বাড়িতেই আছেন আরও এক সদস্য, যে পরিবারের গৌরবকে নিজের কাজে, ধর্মের নামে ব্যবহার করছে। গ্রামের মানুষের কাছে তিনি সাক্ষাৎ দেবীর আরেক রূপ। ঈশ্বর ও ধর্মের নামে মানুষকে ঠকিয়ে রমরমিয়ে চলছে তার ব্যবসা।

বিশ্বাস-অবিশ্বাসের

‘গৌরী এলো’র নামভূমিকায় রয়েছেন মোহনা মাইতি। ঈশানের চরিত্রে অভিনয় করছেন বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন চান্দ্রেয়ী ঘোষ, সুমন্ত মুখোপাধ্যায়, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়রা। ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেছেন দীপঙ্কর দে ও স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। 

এ যুগের ধর্মপ্রাণ গৌরী এবং বিজ্ঞান মনস্ক ঈশানের বিশ্বাস-অবিশ্বাসের গল্প নিয়ে আসছে ‘গৌরী এলো’। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সন্ধ্যা ৭.৩০টায় জ়ি বাংলায় দেখা যাবে ধারাবাহিকটি।



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry
1

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *