বসু পরিবারকে খোলা বিতর্কে আহ্বান, লেখকদ্বয়কে ‘প্রতারক’ বললেন চন্দ্র কুমার
RBN Web Desk: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ও গুমনামী বাবা সংক্রান্ত এক খোলা বিতর্ক সভার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেন চন্দ্র কুমার বসু। গতকাল এক টুইট বার্তায় ‘কন্যানড্রাম’-এর লেখক চন্দ্রচূড় ঘোষ, বসু পরিবারের সদস্যদের একাংশকে যাঁরা মনে করছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘গুমনামী’ ছবিটি নেতাজী সম্পর্কে মানুষকে ভুল বোঝাবে, তাঁদের এক খোলা বিতর্ক সভায় অংশগ্রহণ করার আহ্বান জনান।
চন্দ্রচূড় তাঁর বার্তায় নেতাজীর প্রপৌত্র ও ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা চন্দ্র কুমারকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, তিনি এবং ‘কন্যানড্রাম’-এর সহলেখক অনুজ ধর দুজনেই জনগণের সামনে এই বিতর্ক সভায় অংশ নিতে ইচ্ছুক। নেতাজীর পরিবারের যে সমস্ত সদস্য মনে করেন গুমনামী বাবা একজন পলাতক খুনী ছিলেন, এবং চন্দ্রচূড় ও অনুজ দেশবাসীর সামনে সুভাষচন্দ্রের ভাবমূর্তিকে বিকৃত করেছেন, তাঁরা এই বিতর্ক সভায় এসে জনগণের সামনে তাঁদের যুক্তি পেশ করতে পারেন। লেখকদ্বয় তাঁদের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দিতে প্রস্তুত। তিনি ও অনুজ দুজনেই ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবরের মধ্যে যে কোনও দিন বিতর্কে অংশগ্রহণ করার জন্য কলকাতায় উপস্থিত থাকবেন বলেও চন্দ্রচূড় জানান।
চন্দ্রচূড়ের এই আহ্বান প্রত্যাখান করে চন্দ্র কুমার পাল্টা টুইটে লেখেন, “দুঃখিত, আমরা কোনও প্রতারকদের সঙ্গে বিতর্ক করি না।”
Challenged to a debate by us, Pappu Bose runs away. Again. The man is shameless.@anujdhar @PanickarS pic.twitter.com/irmd5o8gT8
— Chandrachur Ghose (@chandrachurg) September 10, 2019
নেতাজীর অন্তর্ধান সংক্রান্ত গঠিত মুখার্জী কমিশনের রিপোর্ট অবলম্বনে সৃজিতের ‘গুমনামী’ ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। এই ছবি নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ উঠে এসেছে খোদ নেতাজীর পরিবার থেকেই। প্রতিবাদে সব থেকে বেশি সরব হয়েছেন নেতাজীর ভাতুষ্পুত্র শিশির বসুর স্ত্রী কৃষ্ণা বসু ও তাঁর ছেলে সুগত বসু।
আরও পড়ুন: মঞ্চ থেকে এখন বাংলা টেলিভিশনের দুর্ধর্ষ খলনায়িকা অঙ্কিতা
তবে নেতাজীর প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল ফরওয়ার্ড ব্লক জানিয়েছে, ‘গুমনামী’ না দেখে তাঁরা কোনও মন্তব্য করবেন না। ৮ সেপ্টেম্বর কলকাতায় দলটির প্রধান কার্যালয়ে সৃজিতের উপস্থিতিতে ফরওয়ার্ড ব্লকের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় জানান যে ‘গুমনামী’ মুক্তির দিন তাঁদের তরফ থেকে ২০ সদস্যের একটি দল ছবিটি দেখবে। তারপর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে এই ছবি সম্পর্কে তাঁরা তাঁদের অবস্থান জানাবেন।