টেকনিশিয়নদের জন্য তহবিল গঠনে এগিয়ে এল বিনোদন জগত
RBN Web Desk: করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক গ্রাস করেছে সারা বিশ্বকে। একের পর এক দেশ এগিয়ে যাচ্ছে চরম সংকটের দিকে। আতঙ্কে ভুগছে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ। ইতিমধ্যেই ভারতের একাধিক শহরে শুরু হয়েছে লকডাউন। প্রত্যেকেরই জীবন কাটছে গৃহবন্দী অবস্থায়। এর জের এসে পড়েছে বিনোদন জগতেও।
১৭ মার্চ ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়নস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া, আর্টিস্টস ফোরাম, ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইম্পা) ও প্রোডিউসার্স গিল্ডের এক যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ৩০ মার্চ পর্যন্ত সব শুটিং বন্ধ থাকবে। আর্টিস্টস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় জানান যে শুটিং বন্ধের ফলে দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে কর্মরত টেকনিশিয়নদের যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন, সেটা তাঁরা দেখবেন।
সেই সূত্রেই পরিচালক অরিন্দম শীল আজ রেডিওবাংলানেট-কে জানালেন, “আমরা একটি তহবিল গঠন করেছি টেকনিশিয়নদের জন্য। এই তহবিলকে সাহায্যের জন্য ইতিমধ্যেই ইন্ডাস্ট্রির সর্বস্তরের মানুষ এগিয়ে এসেছেন। পরিচালক গৌতম ঘোষ এক লক্ষ টাকা দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”
আরও পড়ুন: ফাগুন লেগেছে বনে বনে
টেকনিশিয়নদের জন্য এই তহবিল গঠনে অপর্ণা সেন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়দের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছেন তরুণ প্রজন্মের বহু শিল্পী। তনুশ্রী চক্রবর্তী, ঋতাভরী চক্রবর্তী, সৌরসেনী মৈত্র, অর্জুন চক্রবর্তী, গৌরব চক্রবর্তীরা তাঁদের সাধ্যমত সাহায্য করেছেন এই তহবিলে।
“দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের জন্য একটা সুব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই এই পদক্ষেপ। আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকেও এই তহবিলে তিন লক্ষ টাকা দান করা হয়েছে,” জানালেন অরিন্দম।
সংগৃহিত অর্থে কতদিন পর্যন্ত চলবে জানতে চাইলে অরিন্দম বলেন, “এই লকডাউন ৩১ মার্চ নাকি ১৫ এপ্রিল বা তারও বেশি হবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এমন বহু টেকনিশিয়ন আছেন যাঁদের পক্ষে সাত-আট দিনের বেশি বিনা পারিশ্রমিকে থাকা অত্যন্ত কষ্টের। সেই কথা ভেবেই আমরা একটা বড়সড় তহবিল গঠন করতে চাইছি যাতে তাঁদের কোনও অসুবিধা না হয়।”
এই তহবিলে এখনও পর্যন্ত জমা পড়েছে প্রায় সাত লক্ষ টাকা।
