স্নিগ্ধজিতের নতুন গানে পরিবেশ রক্ষার আহ্বান
RBN Web Desk: বর্তমানে আধুনিক বাংলা গান রিলিজ়ের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ইউটিউব। সিডি বা রেডিওর মাধ্যমে গান মুক্তির আনন্দ আজকাল হারিয়ে গেছে বলেই মনে করেন সঙ্গীতশিল্পী স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক। সম্প্রতি স্নিগ্ধজিতের নতুন গান ‘এই তো আমি’ মুক্তি পেয়েছে তাঁর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে।
এই তো আমি মুক্তি উপলক্ষ্যে স্নিগ্ধজিৎ জানালেন, “একদিকে যেমন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হয়ে যাওয়ায় নতুন অ্যালবাম প্রকাশের আনন্দটা হারিয়ে গেছে, অন্যদিকে আমরা কিন্তু খুব সহজেই দর্শক ও শ্রোতাতের কাছে পৌঁছে যেতে পারছি। আমরা যারা শিল্পী, তাঁরা দিনের শেষে গান গাইতে ভালোবাসি। মুক্তির মাধ্যমটা সেখানে বড় কথা নয়। আমি কখনওই বলছি না ইউটিউবই গান মুক্তির শেষ কথা। তা কখনওই হতে পারে না। তবে বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে আপাতত এই মাধ্যমে খুব সহজেই মানুষের কাছাকাছি পৌঁছনো যায়।”
আরও পড়ুন: পরী কি পারবে এই মায়ার বাঁধন কাটাতে?
স্নিগ্ধজিতের নতুন গানের ভিডিওতে উঠে এসেছে পরিবেশ সচেতনতা। এর আগে করোনার ভয়াবহতা এবং আম্ফানকে কেন্দ্র করে মুক্তি পেয়েছিল স্নিগ্ধজিতের ‘আমার শহরের মন খারাপ’। সেটি ছিল তাঁর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলের প্ৰথম রিলিজ়। এরপরই ফের সামাজিক দায়বদ্ধতার কর্তব্য পালন করতেই ‘এই তো আমি’র আগমন। গানটি লিখেছেন এবং সুর করেছেন সৈনিক দে।
“আমরা যখন কোথাও বেড়াতে যাই, বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে, সেখানে গিয়ে প্রচুর আবর্জনা পরে থাকতে দেখি। আমার মনে হয় আমরা নিজেরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে এ ধরণের কাজ কমে যাবে। পরিবেশ দূষণের কারণে আমাদের প্রকৃতির কতটা ক্ষতি হচ্ছে তার প্রমাণ আমরা প্রতিনিয়ত পাই,” জানালেন স্নিগ্ধজিৎ।
‘এই তো আমি’র প্রকাশ উপলক্ষ্যে উপস্থিত ছিলেন, রূপঙ্কর বাগচী, শ্রীকান্ত আচার্য, রণজয় ভট্টাচার্য, মেখলা দাশগুপ্তরা। বাংলা রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে তুমুল জনপ্রিয়তা পেলেও, মৌলিক গানে স্নিগ্ধজিৎকে খুব বেশি পাননি শ্রোতারা।
“স্নিগ্ধজিৎ রিয়্যালিটি শোয়ে অংশগ্রহণ করার অনেক আগে, আমি একবার রায়গঞ্জে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে প্রথম ওর গান শুনি। ওর গান সেদিন অসম্ভব ভালো লেগেছিল। তখনই মনে হয়েছিল ও অনেক দূর যাবে,” বললেন রূপঙ্কর।