মোবাইলবিহীন সময়ের প্রেমকে ধরার চেষ্টা করেছি: সৌমেন
RBN Web Desk: সমরেশ মজুমদারের উপন্যাস ‘এই আমি রেণু’ অবলম্বনে আসছে সৌমেন সুরের একই নামের ছবি। এই ছবির নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন সোহিনী সরকার। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন গৌরব চক্রবর্তী, সোহম চক্রবর্তী, অলিভিয়া সরকার ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। একটি বিশেষ চরিত্রে রয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।
মূল কাহিনীতে রেণু কলেজ শিক্ষার্থী হলেও, সেই বয়সের কোনও মানানসই অভিনেত্রীকে তিনি পাননি বলে জানালেন সৌমেন। লেখকের সঙ্গে তাঁর এই নিয়ে কথাও হয়েছে। “আসলে নতুন মুখ নিয়ে কাজ করার ঝুঁকি অনেক। তাছাড়া আমি এমন কোনও নতুন মুখ খুঁজে পাইনি যাকে এক ঝলক দেখলেই মনে হবে সে কলেজে পড়ে। কোনও টিনএজারকে নিলে তাঁর আধুনিকতা এ ছবির সঙ্গে খাপ খাবে না। এ ছবি যে সময়ের, তখন কলেজের ছেলেমেয়েদের হাবভাব একটু অন্যরকম ছিল। অনেকের অডিশন নেওয়ার পর সোহিনীর সঙ্গেই গল্পের রেণুর সবথেকে বেশি মিল পাই,” রেডিওবাংলানেট-কে জানালেন পরিচালক।
আরও পড়ুন: কলকাতার বুকে ক্যাফে থিয়েটারের অভিনব প্রয়াস
মূল কাহিনীতে রেণুর প্রেম ও বৈবাহিক জীবন, এই দুটি অধ্যায় রয়েছে। তবে প্রেমের ব্যাপারটা গোটা ছবি জুড়েই থাকবে বলে জানালেন পরিচালক।
“এই ছবিটা যে সময়ের, তখন মোবাইল ফোন ছিল না যে ইচ্ছে হলেই কথা বলা যায়। দেখা করাটাও এত সহজে হতো না। একটা ছোট্ট মিসকমিউনিকেশনের জন্য ছবির ঘটনা নানা দিকে মোড় নিয়েছে। সেই সময় যদি মোবাইল ফোন থাকত, সেক্ষেত্রে মিসকমিউনিকেশনটা হতো না। ছবিটাও তৈরি হতো না,” বললেন সৌমেন।
এই ছবিতে এক ছিঁচকে গোয়েন্দার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কৌশিক। “এই ধরণের গোয়েন্দারা আগেকার দিনে বড়লোক বাবাদের হয়ে কাজ করত। মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পর হবু জামাই কোনও গোলমাল করছে কিনা, বা নিজের মেয়ে অন্য কারোর সঙ্গে ঘোরাফেরা করছে কিনা, এইসব দেখত। গোয়েন্দা বিবিসির চরিত্রে কৌশিকদা দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন,” দাবি পরিচালকের।
আড়ও পড়ুন: দুর্ঘটনায় চলৎশক্তিহীন সাত্যকি, কী করবে ঊর্মি?
করোনার গ্রাস থেকে এখনও মুক্ত নয় দেশ। অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। ‘সূর্যবংশী’র মতো বড় বাজেটের হিন্দি ছবির মুক্তিও পিছিয়ে গেছে। প্রেক্ষাগৃহে দর্শক নামমাত্র। তবু ‘এই আমি রেণু’ চলার ব্যাপারে আশাবাদী পরিচালক। “বাঙালিরা খুব নস্ট্যালজিক হন। পুরনো দিনের কথা মনে করতে চন। আগেকার দিনের সমাজটা ছিল অন্যরকম। মেয়েদের কথা না হয় বাদই দিলাম, রাস্তায় আলো জ্বলে যাওয়ার পরে ছেলেদেরই বাইরে থাকার অনুমতি ছিল না। এরকম পরিস্থিতিতে প্রেম করা বেশ দুষ্কর ছিল। সেই মোবাইলবিহীন সময়ের প্রেমটাকেই এই ছবিতে ধরার চেষ্টা করেছি। সেটা দেখার জন্যই দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে আসবেন,” বললেন সৌমেন।
আগামীকাল মুক্তি পেতে চলেছে ‘এই আমি রেণু’।