মাত্র ১৯ বছর বয়সেই রোহনের ‘এভাবেই গল্প হোক’
RBN Web Desk: কিছু কথা এমন থাকে যা সকলের সামনে বলা হয়ে ওঠে না, বা অন্য কারোর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যায় না। অনুচ্চারিত সেই সব গল্প হয়তো নিজের অজান্তেই কোথাও গিয়ে সম্পূর্ণতা পায় কিংবা হয়তো পায় না। এই ভাবনাকে ভিত্তি করে রোহন সেনের পরিচালনায় মুক্তি পেতে চলেছে ‘এভাবেই গল্প হোক’।
যে বয়সে সকলে কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের ক্লাসে বা ক্যান্টিনে বসে জমিয়ে আড্ডা দেয়, সেই বয়সেই আস্ত একটি ছবি বানিয়ে ফেলেছেন ১৯ বছরের রোহন। খুব সম্ভবত তিনিই বাংলা ছবির কনিষ্ঠতম পরিচালক। রোহনের ছবিতে শিল্পীদের নামগুলোও চোখে পড়ার মতো। জয় সেনগুপ্ত, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, রূপাঞ্জনা মিত্র, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, আনন্দ চৌধুরী ও শাশ্বতী গুহঠাকুরতার মতো শিল্পীরা থাকছেন ‘এভাবেই গল্প হোক’-এ।
ছবির কাহিনী এক চিত্র পরিচালককে নিয়ে। মূলত থ্রিলার বানিয়ে অভ্যস্ত সেই পরিচালক অভিজিৎ (জয়) এবার চাইছেন জীবনের গল্প নিয়ে ছবি করতে। তার আগের দুটো ছবি বক্স অফিসে সাফল্য পায়নি। ছবির গল্পটা অভিজিৎ তার কর্যনির্বাহী প্রযোজক অঞ্জনকে (শান্তিলাল) বলতে শুরু করেন। সেই গল্পের মূল চরিত্র সিদ্ধার্থ (আনন্দ) ও লাবণী (বিবৃতি)। অভিজিতের গল্পটা আবার অদ্ভুতভাবে মিলে যায় একটি বইয়ের সঙ্গে। সমস্যা শুরু হয় গল্পের কপিরাইট নিয়ে।
আরও পড়ুন: পাকদণ্ডীর পথে পথে দেওরিয়াতাল
এদিকে অভিজিতের স্ত্রী কথার (রূপাঞ্জনা) সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে নানান অশান্তির জেরে। কিন্তু অভিজিৎ এই ছবিটি কথাকে উৎসর্গ করতে চায়। শেষমেশ কি অভিজিৎ কপিরাইট পাবে? কথার সঙ্গে তার সম্পর্ক কি স্বাভাবিক হবে? এইসব নিয়েই এগোবে ‘এভাবেই গল্প হোক’।
মাত্র ১৯ বছর বয়সেই ছবি তৈরির কথা তিনি ভাবলেন কি করে? রেডিওবাংলানেট-কে রোহন জানালেন, “আমি এর আগে প্রচুর স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি বানিয়েছি। তার প্রথম তিনটে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে। ছবি বানানোর চিন্তাটা আমার মাথায় বরাবরই ছিল। ক্লাস টুয়েলভে পড়ার সময়ই মনস্থির করে ফেলি যে ছবি বানাবো। আসলে আমি আমার মতো করে গল্পটা বলতে চাই। সেটা সঠিক ন্যারেটিভে বলতে পারলে দর্শকদের নিশ্চয়ই ভালো লাগবে।”
ছবির চিত্রগ্রহণ করেছেন অনুভব চট্টোপাধ্যায় ও রিপন হোসেন। সম্পাদনা করেছেন সায়ন্তন নাগ। সঙ্গীতের দায়িত্বে রয়েছেন রাজদীপ গঙ্গোপাধ্যায়।
আগামী বছর শুরুর দিকে মুক্তি পাবে ‘এভাবেই গল্প হোক’।