বিপ্লবীদের রিভলভার পাচার থেকে বাংলার অন্যতম সেরা অভিনেতা, মুক্তি পেল ‘ভানু একাই ১০০’
RBN Web Desk: ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তি পেল ‘ভানু একাই ১০০’ তথ্যচিত্র। তাঁর আসল নাম সাম্যময় হলেও, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় হিসেবই বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে ওঠেন তিনি। ‘মাসীমা মালপো খামু’, ‘নাগো মিনু, আমাগো থার্মোমিটারও নাই, বার্নলও নাই’, ‘আমি এখন জলপুলিশের আন্ডারে’র মতো সংলাপ আজও বাঙালির মুখে-মুখে ফেরে।
‘ভানু একাই ১০০’ তথ্যচিত্রে ‘তাঁহাদের কথা’ বিভাগে অভিনেতার স্মৃতিচারণ করেছেন করেছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, কাঞ্চন মল্লিক, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, গৌতম হালদার, মেঘনাদ ভট্টাচার্য ও দেবব্রত সরকার।
ভানুপুত্র গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতির সারণী বেয়ে নেমে এলো পিতা-পুত্রের নানা জানা-অজানা গল্প। “বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর নিষিদ্ধ কাগজপত্র বাবা টিফিনবক্সে ভরে পাচার করত। এমনকি রিভলবারও পাচার করত বলে শুনেছি। তখন বাবার মাত্র আট বছর বয়স। তাই পুলিশ ওকে সন্দেহ করত না,” স্মৃতি হাতড়ে বললেন গৌতম।
আরও পড়ুন: সিনেমার মতোই ছিল যে জীবন
“আমার কাছে ভানুজেঠু শুধুমাত্র একজন কৌতুকাভিনেতা নন। তিনি সংলাপের দ্বারা মুহূর্তের মধ্যে বদলে দিতেন পারিপার্শ্বিক মহল। আমার কাছে তিনি একজন স্বয়ংসম্পূর্ণ অভিনেতা,” জানালেন প্রসেনজিৎ।
অধুনা বাংলাদেশের বিক্রমপুরের মুন্সীগঞ্জে ১৯২০ সালের ২৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন ভানু। কলকাতা শহরের বুকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেও আজীবন নিজেকে ‘ঢাকার পোলা’ বলে গর্ব বোধ করতেন তিনি। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’, ‘বরযাত্রী’, ‘আশিতে আসিও না’, ‘ভানু পেল লটারী’, ‘ভানু গোয়েন্দা জহর অ্যাসিস্ট্যান্ট’, ‘ওরা থাকে ওধারে’, ‘গল্প হলেও সত্যি’র ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য আজও তিনি অমর হয়ে আছেন আপামর বাঙালির হৃদয়ে।
“আমি একদিন স্কুল থেকে ফিরছি, হঠাৎ ভানুদা আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন আমি ওনার থিয়েটার দলে অভিনয় করতে রাজি কিনা। আমি বললাম, আমার বাবার সঙ্গে কথা বলতে। ভানুদা কথা বলার পর আমার বাবা রাজি হয়ে যান। সেই থেকে আমার অভিনয়জীবন শুরু,” জানালেন সাবিত্রী।