শেষ ফেলুদা নিয়ে কানাঘুষো শুনেছিলাম: টোটা রায়চৌধুরী
কলকাতা: আর আসবে না ফেলুদা ওয়েব সিরিজ়। অন্তত তাঁর পরিচালনায় তো নয়ই। এবারের পর্ব দিয়েই ইতি টানছেন তিনি, জানালেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji)। ঘোষণা শুনে থমথমে মুখে টোটা রায়চৌধুরী (Tota Roy Chowdhury) বললেন, এই মুহূর্তে কিছু বলার অবস্থায় নেই তিনি। ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’ সিরিজ়ের দ্বিতীয় সিজ়ন ‘ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর’ (Bhuswargo Bhoyonkawr)। স্ট্রিমিং শুরু হতে চলেছে আর কয়েকদিনের মধ্যেই। গতকাল ছিল ট্রেলার মুক্তি। সেখানেই অনুষ্ঠানের শুরুতে বোমা ফাটালেন সৃজিত। এই পর্ব দিয়েই ফেলুদা নির্মাণ শেষ করছেন তিনি। আর বানাবেন না ফেলুদা।
কিন্তু হঠাৎ এমন ঘোষণা কেন? কী বললেন সৃজিত?
“যে কোনও ভালো জিনিসেরই একটা শেষ থাকা দরকার। তাই আমি ঠিক করেছি এটাই আমার শেষ ফেলুদা। তার একটা কারণ অবশ্যই আছে। ফেলুদার যে সিনেম্যাটিক গল্পগুলো নিয়ে এখনও কাজ করা হয়নি, সেগুলো ওয়েব সিরিজ় ফরম্যাটে করতে গেলে যে বাজেট লাগবে, সেটা অন্যান্য সিরিজের চেয়ে বেশি পেয়েও বলছি, করা খুব কঠিন। কোথাও আপোষ না করে সেটা বানানো যাবে না। তাই আমি এই জার্নিটা এখানেই শেষ করলাম। ফেলুদা নিশ্চয়ই চলবে। নতুন করে কেউ বানাবে নিশ্চয়ই। আমি আর বানাব না,” বললেন সৃজিত।
আরও পড়ুন: বাজিকা ভাষায় প্রথম ছবি, সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেলেন আরিয়ান
ফেলুদার ভূমিকায় টোটা ছাড়াও জটায়ুর চরিত্রে থাকছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী (Anirban Chakrabarty) এবং তপেসের ভূমিকায় আছেন কল্পন মিত্র (Kalpan Mitra)। এছাড়াও রয়েছেন রজতাভ দত্ত (Rajatava Dutta), দেবেশ চট্টোপাধ্যায় (Debesh Chatterjee), ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen) ও শাওন চক্রবর্তী (Sawon Chakraborty)।
টিম ‘ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর’
সৃজিতের ঘোষণা শুনে দৃশ্যতই বিচলিত ছিলেন টোটা। কিছুটা অবাক হন অনির্বাণও। টোটা জানালেন, “আমার বলার ভাষা নেই কারণ ক্যাপ্টেন যে ঘোষণাটা করলেন সেটার পরে আমি জানি না কী বলব। আমি দর্শককে জিজ্ঞাসা করতে চাই আপনারা কি চান আমরা আবার ফিরে আসি? আপনারা সত্যিই সেটা চাইলে লিখুন, কমেন্ট করুন যে আপনারা আবার এই ভূমিকায় দেখতে চান আমাদের। তাহলে হয়তো সৃজিতের মত বদলাবে। আর যদি দর্শক মনে করেন আমরা ফুরিয়ে গেছি তাহলে নিশ্চয়ই চলে যাব।”
সিরিজ় শেষের ঘোষণা কি আজই প্রথম শুনলেন টোটা?
“কানাঘুষো শুনেছিলাম,” বললেন তিনি, “কিন্তু সেই ঘোষণা যে এত তাড়াতাড়ি আসবে সেটা ভাবিনি। সৃজিত খুবই ব্যস্ত পরিচালক। কলকাতা, মুম্বই মিলিয়ে প্রচুর কাজ করে। তবে ও নিজেই ফেলুদা বানাতে এত ভালোবাসে আমার ধারণা ছিল পনেরো-কুড়ি দিন ও ঠিক বার করে নিতে পারেব। কিন্তু ও যে একেবারে মনস্থির করে ফেলেছে সেটা আমার জানা ছিল না।” টোটার গলায় হতাশার সুর।