নতুন লুকে আনন্দ কর, নববর্ষেই ‘কিলবিল সোসাইটি’
RBN Web Desk: আনন্দ কর, আধুনিক বাঙালি জীবনে এক মনে রাখার মতো চরিত্র। সাহিত্যে যেমন কিছু চরিত্র এক বিশেষ বক্তব্যের প্রতীক হয়ে থেকে যায় সিনেমায় তেমনটা কমই হয়। আর বাংলা ছবিতে সে সুযোগ আসে কালেভদ্রে। তেমনই এক চরিত্র আনন্দ কর। মরতে চাওয়া আর মরে যাওয়া, এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্যকে যেভাবে আনন্দ চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল তেমন বাস্তব ধাক্কা সমসাময়িক অতীতে বাংলা ছবির মাধ্যমে খুব একটা আসেনি।
২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chattopadhyay) ও কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick) অভিনীত ‘হেমলক সোসাইটি’ (Hemlock Society)। সেই ছবির চরিত্র আনন্দ আবার ফিরছে। এবার আনন্দকে দেখা যাবে ‘কিলবিল সোসাইটি’ (Killbill Society) ছবিতে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherji) আগের ছবির মূল বক্তব্য ছিল ‘মরবে মরো ছড়িও না’। ১৩ বছর বাদে আনন্দ আসছে নতুন বক্তব্য নিয়ে, ‘মরতে চাইলে বাঁচতে হবে’।
কৌশানী
নতুন ছবিতে আনন্দর লুকে রয়েছে চমক। আনন্দ আর আগের মতো এক মাথা কোঁকড়া চুলের অধিকারী মজাদার মানুষ নয়। মুণ্ডিত মস্তকে আগের চেয়ে অনেক বেশি শান্ত, শীতল ও কঠিন ব্যক্তিত্বের অধিকারী সে। তাহলে কি ১৩ বছর আগের সেই চেনা আনন্দ আর ফিরবে না? কিলবিল সোসাইটি চালাতে গিয়ে কি তার ব্যক্তিত্বের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে? যে একসময় খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষকে ফিরিয়ে দিতো মূল জীবনে এখন সে আর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসে না। কেন এমনটা হলো? উত্তর মিলবে ছবির পর্দায়।
কৌশানী
ছবিতে কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Koushani Mukherjee) রয়েছেন পূর্ণা আইচ চরিত্রে। পূর্ণা ছিল এক সাহসী বেপরোয়া মেয়ে। কখনও কোনওকিছুকে ভয় পায়নি সে জীবনে। কিন্তু সময়ের যাঁতাকলে পড়ে একটা সময় দেয়ালে পিঠ থেকে যায় পূর্ণার। কিসের এত ভয় তার? বেঁচে থাকার, নাকি মরে যাওয়ার? উত্তর দেবে ‘কিলবিল সোসাইটি’।
আরও পড়ুন: ছবি পরিচালনায় রাধিকা আপটে
পরমব্রত, কৌশানী ছাড়াও ছবিতে থাকছেন বিশ্বনাথ বসু (Biswanath Basu), অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (Anindya Chatterjee) এবং সন্দীপ্তা সেন (Sandipta Sen)। দু’দিন পরে আসতে চলেছে ছবির টিজ়ার। আজ প্রকাশিত হলো অভিনেতাদের প্রথম লুক। মৃত্যুর অ্যানাটমি আর একবার বুঝে নিতে বাংলা নববর্ষে মুক্তি পাবে ‘কিলবিল সোসাইটি’।