কেমন আছে মুকুলের বাড়ি? ছবি তুলে আনলেন রিঙ্গো

RBN Web Desk: যে বাড়ি সামনে থেকে দেখার আগ্রহে, চেনা উঠোনে, চেনা এলাকায় ফিরে যাওয়ার জন্য মুকুল অস্থির হয়ে উঠেছিল, সেখানে এত কাণ্ড করে যেদিন সে সত্যিই গিয়ে পৌঁছল, সেদিন আনন্দের বদলে তার চোখে জল এসেছিল। পূর্বজন্মের ফেলে আসা ঘরবাড়ি যে মায়ায় তাকে বেঁধে রেখেছিল, সেই মায়া এক লহমায় কেটে যায় বাড়ির বর্তমান অবস্থা দেখে। সে দুঃখ এমনভাবে ছাপ ফেলে মুকুলের মনে যে তা ক্যামেরাবন্দি করতে পরিচালক সত্যজিৎ রায়কে কলকাতার ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োতে আবার সেই কেল্লার সেট তৈরি করতে হয়েছিল। সেই মুকুলের বাড়ির এখন কী অবস্থা?

সুদূর রাজস্থানের জয়সলমেরে পূর্বজন্মের হারানো সোনার কেল্লা খুঁজে পেয়ে উচ্ছ্বাস বাঁধ মানেনি মুকুলের। আপনমনে ছুটে বেড়িয়েছে সে কেল্লার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। কখনও সে মন্দির খুঁজেছে, কখনও বা হোলি খেলার জায়গা। চিনতে পেরেছে তার পূর্বজন্মের বন্ধু রতন আর গিরিধারীর বাড়ি। চারদিকে ধ্বংসস্তুপ দেখে ক্রমশ মন ভেঙে গিয়েছে তার। তারপর ভাঙা রাস্তা ধরে এগিয়েছে নিজের বাড়ির দিকে। খুঁজে পেয়েছে সেই জনমানবশূন্য ভগ্নাবশেষ, তারপর নিজের মনেই ভেঙে পড়েছে। 

আরও পড়ুন: জটিল রহস্য নিয়ে স্মার্ট থ্রিলার

বাংলার সর্বকালের অন্যতম সেরা ছবি ‘সোনার কেল্লা’ (Sonar Kella) দেখে একবারও রাজস্থান যেতে ইচ্ছে করেনি এমন বাঙালি বিরল। প্রতি বছর প্রচুর বাঙালির আগমন ঘটে রাজস্থানের মরু শহর জয়সলমেরে। স্থানীয় অধিবাসীরা স্বীকার করে নেন, বাঙালি ট্যুরিস্ট তাঁদের লক্ষ্মী। কেল্লা সংলগ্ন দোকানে সোনার পাথরবাটি কেনা থেকে শুরু করে কেল্লার ভেতর গাইডের সঙ্গে পায়ে-পায়ে এগিয়ে মুকুলের বাড়ি দেখে আসাও ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির অবশ্য কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।

এখন কেমন আছে সেই বাড়ি?

Sonar Kella

মুকুলের বাড়ির বর্তমান অবস্থা

দেখে এলেন পরিচালক অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নতুন ওয়েব সিরিজ় ‘জয়সলমীর জমজমাট(Jaisalmer Jomjomat) আবার বাঙালির ঘরে তুলে আনবে এক টুকরো সোনার কেল্লাকে। এক মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের রাজস্থান ভ্রমণ ও রহস্যে জড়িয়ে পড়ার রুদ্ধশ্বাস ঘটনা নিয়ে এই সিরিজ আসছে বাঙালির নস্টালজিয়াকে উস্কে দিতে। সিরিজ়ে অভিনয় করেছেন সব্যসাচী চৌধুরী, মেঘলা দাশগুপ্ত, অভিষেক সিংহ, দেবতনু, অমৃতা দেবনাথ, দেবাশিস নাথ ও আরও অনেকে।




Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *