প্রসেনজিতের চিত্রনাট্য পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম: রজতাভ

RBN Web Desk: তাঁর আজ অবধি পড়া সেরা চিত্রনাট্যগুলির মধ্যে ‘দিন রাত্রির গল্প’ অবশ্যই থাকবে বলে মনে করেন অভিনেতা রজতাভ দত্ত। পরিচালক প্রসেনজিৎ চৌধুরীর এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘দিন রাত্রির গল্প’র অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন রায়তী ভট্টাচার্য, প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, রুমকি চট্টোপাধ্যায়, দেবেশ রায়চৌধুরী, সৌরভ চক্রবর্তী ও সুপ্রীতি চৌধুরী।

রেডিওবাংলানেট-কে রজতাভ জানালেন, “প্রসেনজিৎ আমাকে চিত্রনাট্যটা পড়ে শুনিয়েছিল। আমি মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। ও শল্যচিকিৎসক হলেও এত সুন্দর একটা চিত্রনাট্য লিখেছে আর তারপর এত গুছিয়ে কাজটা করেছে যে কোথাও আমার মনে হয়নি ও একজন পেশাদার পরিচালক নয়। আর এমনিতেও আমার অভিনীত চরিত্রটা এতরকম রঙে রঙীন, যে কোনও অভিনেতাই এই ধরণের কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকেন। এই চরিত্রটাকে মাল্টিলেয়ার্ড বলা যেতে পারে। আসলে এরকম চরিত্রে কাজ করতে পারলে অভিনয়ের প্রচুর সুযোগ থাকে।” 

আরও পড়ুন: ফাগুন লেগেছে বনে বনে

মৃত্যুর নেশায় ডুবে থাকা এক আপাত ভয়ঙ্কর চরিত্র মনে হলেও, সেটার মাধ্যমে জীবনের নানারকম টানাপোড়েন ছবিতে উঠে আসবে। “আসলে যে লোকটা চুরি করে তার দৃষ্টিভঙ্গিতে তো ওই চুরির স্বপক্ষেও কিছু যুক্তি থাকে। তাই প্রেক্ষাপট না জেনে কাউকেই ভালো বা খারাপ তকমা দেওয়া যায় না। লোকটা যা করছে তার পিছনে নিশ্চয়ই কোনও কারণ আছে,” বললেন রজতাভ। 

কী নাম থাকছে তাঁর অভিনীত চরিত্রটির? “নাম নিশ্চয়ই একটা আছে,” বললেন রজতাভ, “তবে গোটা ছবিতে সেটা প্রায় কোথাও নেই। নামটা ছবির ক্লাইম্যাক্সে আসবে। গল্পটা একেবারে অন্যরকম একটা থ্রিলার বলেই আমার কাজটা করতে এত ভালো লেগেছে। এটুকু বলতে পারি ছবিটা দেখার পরে দর্শকদের জীবনের প্রতি ভালবাসা আর একটু বেড়ে যাবে।”

আরও পড়ুন: পাকদণ্ডীর পথে পথে দেওরিয়াতাল

ছবির গল্প সুজ়ান নামের এক সন্ন্যাসিনীর দুটি স্বীকারোক্তিকে কেন্দ্র করে। একটি দিনের, অন্যটি রাতের। দিনের গল্প অরুণিমাকে নিয়ে। সাতদিন ধরে নিখোঁজ অরুণিমার বাবা মা হঠাৎ জানতে পারেন তাঁদের মেয়েকে মঙ্গলগ্রহে পাঠাচ্ছে নাসা। পৃথিবী থেকে প্রথম মঙ্গলে পা রাখতে চলেছে সে। এমনকি মহাকাশযান থেকে পাঠানো ভিডিওতেও দেখা যায় অরুণিমাকে। অবাক ও অসহায় বাবা মা এবার কী করবেন? রাতের গল্পে সুজ়ানের সঙ্গে ঝড়ের সন্ধ্যায় একটি লোকের দেখা হয়ে যায়। লোকটি তাকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেয়। কিন্তু পুরো বাড়িটাই যেন মৃত্যুর রহস্যে মোড়া। সুজ়ানকে সে একটি বিশেষ ঘরে যেতে বারণ করে। কী হয় তারপর? 

“কোনও চমক সৃষ্টির জন্য কিন্তু ছবিতে মহাকাশযান আনা হয়নি,” দাবী প্রসেনিজেতর। “ছবিটা দেখলেই বোঝা যাবে গল্পে ওটা কতটা প্রয়োজনীয় ছিল। ওটা ছাড়া ছবিটা দাঁড়ায় না। আসলে চেনা ছকের বাইরে অন্যরকম কিছু করতে চেয়েছি। তবে জীবনের প্রতি পজ়িটিভিটিকেই তুলে ধরবে এই ছবি।

২৮ ফেব্রুয়ারী মুক্তি পেতে চলেছে ‘দিন রাত্রির গল্প’। 

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Swati

Editor of a popular Bengali web-magazine. Writer, travel freak, nature addict, music lover, foody, crazy about hill stations and a dancer by passion. Burns the midnight oil to pen her prose. Also a poetry enthusiast.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *