নায়ক-নায়িকা কেন্দ্রিক নয় ‘দেশের মাটি’, দাবি লীনার
RBN Web Desk: পরিবার আসলে প্রকাণ্ড একটা গাছ। বয়োজেষ্ঠ্যরা হলেন সেই পরিবারের শেকড়, বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা সেই গাছটির ডালপালা। বাড়ির সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্যরা হলো সেই গাছের ফুল, ফল। কর্মসূত্রে পরিবারের শাখা-প্রশাখা যতদূরই বিস্তৃত হোক না কেন, শিকড়ের টান কখনও অস্বীকার করা যায় না। ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে ভিটেমাটির টান কতটা গুরুত্বপূর্ণ? বিদেশে বড় হওয়া উত্তরসূরীদের অত্যাধুনিক জীবনে পুরনো শিকড়ের গ্রহণযোগ্যতা আদৌ আছে কিনা, টানাপোড়েনের এই কাহিনী নিয়েই শুরু হচ্ছে নতুন ধারাবাহিক ‘দেশের মাটি’।
স্বরূপনগর গ্রামের অল্পবয়সী মেয়ে নোয়া শিক্ষিত এবং সাহসী। তার গ্রাম, পরিবার এবং সেই পরিবারের ঐতিহ্যই তার কাছে সব। অন্যদিকে মুখার্জীবাড়িতে রয়েছে দুজন ডাক্তার। একজন বিলেত ফেরত অন্যজন দেশের মাটিতেই বড় হওয়া। কীভাবে এই ভিন্ন চরিত্রগুলো একই সুরে বাজে, সেই নিয়েই আবর্তিত হবে গল্প।
গতকাল এক ভার্চুয়াল আড্ডায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ‘দেশের মাটি’র কলাকুশলীরা।
আরও পড়ুন: জটায়ুর সাহস
সম্প্রতি পরিবারকেন্দ্রিক গল্পের ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় কাহিনীকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। লীনার কাছে শিকড়ের অর্থ তাঁর চারপাশের মানুষজন। “এই গল্প একেবারেই নায়ক-নায়িকা কেন্দ্রিক নয়। তবে যে কোনও ধারাবাহিকে কিছু কেন্দ্রীয় চরিত্র থাকে, যাদের নিয়ে গল্প এগিয়ে চলে। তেমন দুটি চরিত্র হলো নোয়া আর দিব্যাংশু,” বললেন তিনি।
‘ত্রিনয়নী’র পর এবার নোয়ার চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী শ্রুতি দাসকে। তাঁর বিপরীতে বিলেত ফেরত ডাক্তার দিব্যাংশুর চরিত্রে অভিনয় করছেন দিব্যজ্যোতি দত্ত।
দীর্ঘ বিরতির পর আবার একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে রাহুল বন্দোপাধ্যায়কে। তাঁর চরিত্রের নাম রাজা। মাটির কাছাকাছি থাকলেও রাজা ডানা মেলে আকাশে উড়তে চায়। ধারাবাহিকে মুখার্জিবাড়ির সবথেকে বয়োজেষ্ঠ্য দুই সদস্যের চরিত্রে থাকছেন অশোক ভট্টাচার্য ও অনুসূয়া মজুমদার। এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন ঋতা দত্ত চক্রবর্তী, ভরত কল, রুকমা রায়, দিগন্ত বাগচী ও তথাগত মুখোপাধ্যায়। ধারাবাহিকটির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন দেবজ্যোতি মিশ্র।
পরিচালক শৈবাল বন্দোপাধ্যায় জানালেন, “দর্শকের কথা ভেবেই শুটিং প্যাটার্ন এবং নতুন লোকেশনের ওপর আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। এছাড়া এই ধারাবাহিকে গানের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।”
কলকাতা ছাড়াও এই ধারাবাহিকের শুটিং হয়েছে বারুইপুর রাজবাড়ি ও তার সংলগ্ন এলাকায়।
৪ জানুয়ারি থেকে স্টার জলসায় দেখা যাবে ‘দেশের মাটি’।