করোনা মোকাবিলায় ‘ফেলুদা’র শরণাপন্ন বিজ্ঞানীরা
RBN Web Desk: ১৯৬৫ সালে নেহাতই পাতা ভরানোর জন্য তাঁর সম্পাদিত সন্দেশ পত্রিকায় গোয়েন্দা প্রদোষ চন্দ্র মিত্র ওরফে ফেলুদার আবির্ভাব ঘটিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। গল্পের নাম ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’। সেই শুরু। তারপর থেকে ফেলুদাকে নিয়ে একের পর এক কাহিনী লিখে গেছেন সত্যজিৎ। আবির্ভাবের ৫৫ বছর পরেও ফেলুদার জনপ্রিয়তা কমেনি এতটুকু। ছবির পর্দায় হোক বা বই, ফেলুদা এখনও সমানভাবে রাজত্ব করে বাঙালির মননে।
এবার করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তকরণের জন্য সেই ‘ফেলুদা’র শরণাপন্ন হলেন কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (সিএসআইআর) বৈজ্ঞানিকরা। দুই বাঙালি বৈজ্ঞানিক সৌভিক মাইতি ও দেবজ্যোতি চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এই সংস্থা তৈরি করেছে ‘ফেলুদা’ টেস্ট স্ট্রিপ। কাগজের এই স্ট্রিপ ব্যবহার করলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরীক্ষার খরচ অনেকাংশে কমিয়ে ফেলা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তাঁরা। করোনার ক্ষেত্রে এখন যে পরীক্ষাটি করা হয় তার নাম রিয়াল-টাইম পলিমারেজ় চেন রিঅ্যাকশন টেস্ট। কোনও বেসরকারী ল্যাবরেটরিতে এই পরীক্ষার ন্যূনতম খরচ ₹২,৫০০। অথচ ‘ফেলুদা’ টেস্টে খরচ মাত্র ₹৫০০।
আরও পড়ুন: পঁচিশে ‘উনিশে এপ্রিল’
সিএসআইআরের ডিরেক্টর জেনারেল শেখর মান্ডে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ‘ফেলুদা’ স্ট্রিপের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য কোনও বিশেষ যন্ত্র লাগবে না। কোনও প্রশিক্ষণেরও দরকার নেই। যে কোনও ছোট প্যাথোলজি ল্যাবেও এই পরীক্ষা করা যাবে। টেস্ট পজ়িটিভ হলে কাগজের রংটা শুধু বদলে যাবে। এই পরীক্ষা একশ শতাংশ নিখুঁত বলেও দাবি করেছেন শেখর।
স্ট্রিপের নামকরণ সম্পর্কে দেবজ্যোতিবাবু সংবাদমাধ্যমকে জানান যে গোয়েন্দা ফেলুদা যেভাবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই অপরাধী ধরে ফেলতে পারে, এই স্ট্রিপও একইভাবে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করতে সক্ষম।