তিনি বৃদ্ধ হলেন
RBN Web Desk: এক লক্ষ পেরিয়েছে হিট সংখ্যা। চব্বিশ ঘন্টারও কম সময়ে দেবালয় ভট্টাচার্য পরিচালিত বিদায় ব্যোমকেশ ছবির ট্রেলার যথেষ্ট সাড়া ফেলে দিয়েছে দর্শক মহলে। তবে প্রত্যাশা আগে থেকেই ছিল, কারণ এই ছবির গল্প শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা নয়। তার সৃষ্ট ব্যোমকেশ-অজিত এবং আরও কয়েকটি চরিত্র নিয়ে নতুন গল্প বুনেছেন দেবালয়।
এ গল্পে ব্যোমকেশ বৃদ্ধ। সন্ন্যাস নিয়েছেন সত্যান্বেষণ থেকে। ঘরেই কাটে বেশিরভাগ সময়। সেই বুড়ো এবং ইষৎ ন্যুব্জ ব্যোমকেশকেই ফিরতে হয় একটি খুন ও অপহরণ মামলার তদন্তে। সাধারণ কোনও মামলা হলে হয়ত তিনি মাথা ঘামাতেন না। কিন্তু এখানে অপহরণের শিকার তার পুত্র। নিজের ছেলেকে খুঁজে বার করতে পারবে না? খোঁচা দেয় নাতি।
তাই বেরোতে হয় আবার। স্বেচ্ছা নির্বাসন ভেঙে অপরাধের শহরে পথে নামেন ব্যোমকেশ বক্সী। পেছনে হামলে পড়ে মিডিয়া। জ্বলে ওঠে ফ্ল্যাশবাল্ব। শুরু হয় তদন্ত। সঙ্গী নাতি সাত্যকী বক্সী।
দেবতার গ্রাস
ব্যোমকেশ ও সাত্যকীর দ্বৈত ভূমিকায় আবীর চট্টোপাধ্যায়। নিংড়ে নিয়েছে পুরো, সংবাদমাধ্যমকে বললেন আবীর। তিন ঘন্টা লাগত প্রস্থেটিক্স ও মেকআপ করতে এবং পরে আরও এক ঘন্টা তুলতে। তা ছাড়া দুই চরিত্রে দুরকম গলার স্বর। ম্যানারিজ়মও আলাদা। তবে বৃদ্ধ ব্যোমকেশ করতে পেরে তৃপ্ত, মেনে নিলেন তিনি।
তাহলে এটাই কি এখনও অবধি সেরা অভিনয়? মনে তো হয়, বললেন আবীর। সঙ্গে জুড়ে দিলেন, শেষ কথা তো দর্শক বলবে।
বিদায় ব্যোমকেশ ছবিতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদীপ্তা চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয় সেনগুপ্ত। মুক্তি ২০ জুলাই।