কাটতে চলেছে শিল্পীদের বকেয়া পারিশ্রমিকের জট, জানাল ফোরাম
কলকাতা: বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিকে কর্মরত শিল্পীদের বকেয়া পারিশ্রমিক সংক্রান্ত জট কাটতে চলেছে। গতকাল একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আর্টিস্টস ফোরামের তরফ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
গত ২৫ মে ফোরামের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে দাবী করা হয় যে প্রযোজক রাণা সরকারের সংস্থা দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত পাঁচটি ধারাবাহিকের শিল্পীদের প্রাপ্য টাকা বকেয়া রয়েছে এবং প্রয়োজনে তা আদায়ের জন্য গণ আন্দোলনে নামতে পারে সংগঠনটি। যে পাঁচটি ধারাবাহিক নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয় সেগুলি হল ‘জয় বাবা লোকনাথ’, ‘আমি সিরাজের বেগম’, ‘খনার বচন’, ‘মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য’ ও ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’। এর মধ্যে ‘আমি সিরাজের বেগম’-এর সম্প্রচার গত ফেব্রুয়ারী মাসে শেষ হয়েছে। এই ধারাবাহিকগুলির শিল্পী ও কলাকুশলীদের পাঁচ কোটিরও বেশি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
গান শেষ আর জান শেষ তো একই কথা রাজামশাই
ফোরামের তরফে জানানো হয় যে এত বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিকে আগে কখনও হতে হয়নি। ফোরামের কার্যনিবাহী সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান যে শিল্পীরা ১২-১৪ ঘন্টা কাজ করেও তাদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক পাননি। এদের মধ্যে কেউ কেউ চরম অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে আর্টিস্টস ফোরাম বড়সড় আন্দোলনে নামবে ও ভবিষ্যতে তাঁদের কোনও সদস্য দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার সঙ্গে কোনও কাজ করবেন না। তবে এও জানা গিয়েছিল যে চ্যানেলের হাতে শিল্পীদের প্রাপ্য টাকা রয়েছে। কিন্তু আইনগত জটিলতার কারণে প্রযোজক সংস্থার তরফে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট না মিললে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ সেই টাকা মেটাতে অক্ষম।
যে জন থাকে মাঝখানে
সেদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রসেনজিৎ ও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পার্থসারথি দেব, শঙ্কর চক্রবর্তী, ভরত কল, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, রূপা ভট্টাচার্য, দিগন্ত বাগচী, সৌমিলী বিশ্বাসের মত শিল্পীরা।
গতকালের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ফোরাম জানিয়ে দেয় রাণা সরকার তিনটি মুখ্য বাংলা বেসরকারী বিনোদমূলক চ্যানেলকে প্রয়োজনীয় নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পাঠিয়ে দিয়েছেন। ফলে শিল্পীদের বকেয়া পাওনা মেটাতে আর কোনও অসুবিধা থাকছে না। যদিও এই প্রাপ্য পারিশ্রমিকের পুরো টাকা না পাওয়া অবধি তারা নিশ্চিন্ত হবেন না বলেই জানিয়েছে ফোরাম।
ছবি: RBN আর্কাইভ