রাজনীতির গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানো নিয়ে চিন্তিত অঞ্জন
RBN Web Desk: গত কয়েকমাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নানান চাপানউতোর ও দলবদলের আবহের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ওপর। বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রী ও পরিচালকরা স্পষ্ট করেছেন নিজেদের অবস্থান। তবে রাজনীতির এই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনেতা-পরিচালক অঞ্জন দত্ত।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে অঞ্জন লিখেছেন, “আমি চিরকালই সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছি। আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আমি লজ্জিত। আমার ধারণা ছিল আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি, তারা বয়সে আমার থেকে ছোট হলেও, সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার যোগ্যতা তাদের আছে। আজ এ কথা বলা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে কারণ আমাদের পেশায় থাকা অনেকেই রাজনীতিকে বেছে নিয়েছেন।”
অঞ্জনের মতে তাঁর কখনও মনে হয়নি তাঁর সহকর্মীরা ভুল করছেন বলে, বরং তাদের জন্য তিনি গর্বিত হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “দু’বছর আগে আমার এক সহকর্মী ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানেও এক সহকর্মী যিনি আমার থেকে বয়সে অনেকটাই ছোট, তিনিও সেই একই রাস্তা বেছে নিয়েছেন। আমি এদের কাউকে কোনওদিন কোনও রাজনৈতিক আলোচনায় অংশ নিতে দেখিনি, বা কোনও রাজনৈতিক বইও পড়তেও দেখিনি।”
বিশ্বনাথের বারাণসী, বারাণসীর বিসমিল্লাহ
অঞ্জনের দাবী, তাঁর পেশায় থাকা অনেকেই রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র না জেনেই স্রোতে গা ভাসিয়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর কাছের কিছু মানুষও একই ভুল করতে চলেছেন দেখে রীতিমত উদ্বিগ্ন তিনি। “এমন অনেক পরিচালক, লেখক, গায়ক, অভিনেতা, সুরকার বা চিত্রশিল্পী আছেন যাঁরা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সচেতন। যাঁদের আমি কাছের মানুষ মনে করি, তারাও যখন রাজনীতির বিপজ্জনক ও ভুল পথে পা বাড়ায় শুধুই অর্থের হাতছানিতে তখন মনে হয় হয়ত এদের সম্পর্কে আমার ধারণা ভুল ছিল,” বললেন অঞ্জন।
সাম্প্রতিককালে অঞ্জন ঘনিষ্ট বেশ কিছু অভিনেতা অভিনেত্রীর রাজনীতিতে যোগদানের পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁর এই প্রতিক্রিয়া বলে মনে করা হচ্ছে।