ক্লান্ত দাম্পত্যের কাহিনি নিয়ে ‘অসহ্য’
RBN Web Desk: ক্ষণস্থায়ী জীবন, ক্ষণস্থায়ী সম্পর্ক। সুপারসনিক জেট গতিতে ছুটছে মানুষের আবেগ। আম জনতার চিন্তাভাবনা ও মতামতকে আজ নিয়ন্ত্রণ করে সমাজ মাধ্যমের রিলস এবং শর্টস। সবকিছুই এক্ষুণি চাই, না পেলে অন্য কোথাও খুঁজে নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে চলেছে। সমাজের একটা বড় অংশ ধৈর্য ভুলেছে, ভুলেছে অপেক্ষা বা মানিয়ে নেওয়ার মতো স্বাভাবিক আবেগকেও। ভালোবাসার সম্পর্ক কিংবা দাম্পত্যেও পড়ছে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব। পরিচালক দীপান্বিতা সেনগুপ্তের ছবি ‘অসহ্য’ তৈরি হয়েছে এই বিষয়কে অবলম্বন করেই। মানুষে মানুষে সম্পর্কের এই কাহিনিতে দুই মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে বিশ্বনাথ বসু (Biswanath Basu) ও ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়কে (Bhaswar Chatterjee)। এছাড়াও মূল নারী চরিত্রে থাকবেন দীপান্বিতা নিজেই।
সম্পর্কের গভীরতা এখন আপেক্ষিক। বৈবাহিক সম্পর্ক ও সংসারের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে অজস্র ছেলেমেয়ে বেছে নিচ্ছে লিভ-ইন। যাতে এক সম্পর্কে কাঙ্ক্ষিত সুখ না মিললে চটজলদি ‘মুভ অন’ করে যাওয়া যায়। বর্ণ (ভাস্বর) ও রাইয়ের (দীপান্বিতা) পনেরো বছরের দাম্পত্য। কালের নিয়মে সেখানেও এসেছে ক্লান্তি। তাদের চোদ্দ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। অথচ শান্তি নেই রাইয়ের মনে।
ভাস্বর
বর্ণর ব্যবহারে বিরক্ত রাই বেরিয়ে আসতে চায় বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে। তার কলেজের বন্ধু অনুভব (বিশ্বনাথ)। তাকে সবটা খুলে বলে রাই। বন্ধুত্বের খোলামেলা সম্পর্কে নিজের জীবনের দমবন্ধ অভিজ্ঞতার কথা বলে কিছুটা হালকা হতে চায় সে। কিন্তু সবটা শোনার পর অনুভবের বলা একটা কথায় তছনছ হয়ে যায় রাইয়ের এতদিনের চিন্তাভাবনা, তার জীবনবোধ। প্রকৃতির ভেতর থেকে ভেসে আসে অন্য এক উপলব্ধির গান, ‘সোনা বন্ধু রে, যদি ভালো নাই বাসো, একটু মায়া করে যাও’।
আরও পড়ুন: ফেলুদার ছায়ায় জম্পেশ গোয়েন্দাগিরি চারুলতার
ছবিতে থাকবেন নতুন প্রজন্মের তিন অভিনেতা সপ্তর্ষি, মহাশ্বেতা ও বনি। দীপান্বিতা জানালেন, “বর্তমান সমাজে মানুষের মনের কথা বলবে এই ছবি। মুক্তির আগে ছবিটি আন্তর্জাতিক স্তরের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পাঠাতে চাই।”
ছবিতে থাকছে ভাটিয়ালি গান। গেয়েছেন সুজয় ভৌমিক। শুটিং হয়েছে কলকাতা ও বাঁকুড়া মিলিয়ে। চলতি মাসেই শেষ হয়েছে শুটিংয়ের কাজ।